তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আগ্রহী বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
পারস্পরিক আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের ভিত্তিতে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সুবিধার জন্য তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ আগ্রহী বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে দু’দেশের সম্পর্কের ইতিহাস, বিশ্বাস এবং ঐতিহ্যের গভীর ভিত্তি রয়েছে। বাংলাদেশ দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সুবিধার জন্য তুরস্কের সঙ্গে তার সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আগ্রহী।’
তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আমন্ত্রণে ২০১২ সালের ১৩ এপ্রিল আঙ্কারা সফরের কথা স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দুদেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রায় ৫০ বছর আগে ১৯৭৪ সালে শুরু হয়েছিল। সরকার এবং তার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সরকার ও তুরস্কের জনগণকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তুরস্কের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি প্রায় তিন বছর হয়ে গেছে, আমি মনে করি রোহিঙ্গা জনগণকে তাদের নিজের দেশে ফিরে যেতে হবে। আমার মনে হয়, তুরস্ক এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।’
করোনা মহামারি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিশ্ব একটি কঠিন সময় পার করছে। এটি বিশ্বব্যাপী বেশিরভাগ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে।