দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন
ই- বার্তা ডেস্ক।। দক্ষিণ আফ্রিকার ৯টি প্রদেশের মধ্যে কৃষিপ্রধান ৬টি প্রদেশেই বর্তমানে ড্রোন ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষিপ্রধান এলাকায় ইদানীং মাথার ওপর দিয়ে নিয়মিত উড়ে যায় ড্রোন। মনে হয় যেন বড় ধরনের একটি মাছি অনেক শব্দ করে ভন ভন করে উড়ে গেল। আসলে এটি মাছি নয়, এটি একটি ড্রোন।
ড্রোনটি যেন পুরো বাগানের ওপরে নজরদারি করছে। ওয়েস্টার্ণ ক্যাপ প্রদেশের ফার্স্ট ফ্রুট গ্রুপ নামের একটি আপেল বাগানের প্রধান নির্বাহী হাইন গার্বার জানান, সাধারণত আপনার যতদূর চোখ যাবে আপনি তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। সময়েরও একটা ব্যাপার আছে। এই দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে আপনি দিনে আপনার বাগানের নির্দিষ্ট কতটুকুর ওপর নজর রাখতে পারবেন। কিন্তু ধরুন বাগানের অন্য কোনো অংশে আপনার যাওয়া হল না আর সেখানে কোনো সমস্যা হয়ে গেল। সেই সমস্যারই সমাধান করছে ড্রোন। আপনি নিজে উপস্থিত না হতে পারলেও উড়ে উড়ে পুরো বাগানোর উপর নজর রাখছে দূর থেকে পরিচালিত ছোট এই উড়ন্ত যন্ত্রটি।
কিন্তু কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে ড্রোনের কি সম্পর্ক এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়ত খামারের বেড়া কোথাও ভেঙে গেল, কোথাও পানি কমে গিয়ে ফসল শুষ্ক হয়ে গেছে, খামারের কোনো অংশে ফসল কম হয়েছে অথবা কোথাও মাটির চেহারা দেখতে কেমন সব উঠে আসবে ড্রোনের তোলা ছবি থেকে।
এরপর সে সম্পর্কিত রোজকার ডাটা আপনি পাবেন কম্পিউটারে। যা আপনি নিয়মিত বিশ্লেষণ করতে পারবেন। হাইন গার্বার বলছিলেন, ড্রোন ব্যবহার করে বেশ উপকৃত হচ্ছে তার ফার্ম।
এ দিকে সম্প্রতি বিবিসি আফ্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াবে দশ বিলিয়নে। এত বিপুল মানুষের খাদ্যের যোগান দিতে এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীর কৃষি উৎপাদন অন্তত ৭০ শতাংশ বাড়াতে হবে।
এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে আফ্রিকার দেশগুলোকে। কেন না পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ অব্যবহৃত চাষযোগ্য জমি রয়েছে আফ্রিকাতে।