দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ বিএনপিতে
ই-বার্তা ডেস্ক।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে দল পুনর্গঠনের দিকে নজর দিয়েছে দলটি।
কিন্ত পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। । প্রস্তুতি কমিটিতেই ১০০ থেকে ১৫০ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। পুরনোদেরই কমিটিতে রাখা হচ্ছে।
এসব কমিটি গঠনে অধিকাংশ সিনিয়র নেতার মত নেয়া হয়নি। ফলে তারা অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। তাই পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে দলের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। যে প্রক্রিয়ায় পুনর্গঠন করা হচ্ছে তাতে কার্যকরী ফলাফল আসবে না বলে মনে করছেন অধিকাংশ নেতাকর্মী। কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি না করে পুরনো ধারায় পুনর্গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকেই হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
সূত্র জানায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিনিয়র নেতাদের পাশ কাটিয়ে দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে যেসব কমিটি ঘোষণা হয়েছে সে বিষয়ে বেশিরভাগ সিনিয়র নেতাদের মতামত নেয়া হয়নি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর অনেক ক্ষেত্রেই তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। কিন্তু এবারের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। দলের হাইকমান্ড বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরাসরি বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা নতুন কমিটি উপহার দিতে পারবেন। যদি না পারেন তবে আমরা বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।
জানা গেছে, নতুন কমিটি দেয়ার আগে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের এমন সিদ্ধান্তে তৃণমূলসহ বিভিণ্ণ পর্যায়ের নেতাকর্মীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।ঢাকা মহানগর কমিটির সাবেক সভাপতি সাদেক হোসেন খোকাকে সরিয়ে মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও হাবিব উন নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে ২০১৪ সালের ১৮ জুলাই হাইভোল্টেজ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
ঘোষিত কমিটির সদস্য সংখ্যা নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে। আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি করবে বলে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ঘোষিত কমিটিতেও নেই কোনো চমক। যোগ্য ও ত্যাগীদের পরিবর্তে বিগত আন্দোলন সংগ্রামে যারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন তাদেরকেই আহ্বায়ক কমিটির মূল নেতৃত্বে রাখার অভিযোগ রয়েছে।
ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ