দায় এড়ানো যাবে না, সতর্কীকরণ চিঠি দিয়েই
ই-বার্তা ডেস্ক।। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীতে একের পর এক বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেই চলছে। আগুনে পুড়ছে মানুষ, মরছে নিরপরাধ বহু প্রাণ। পুড়ছে পরিবারের সদস্যদের স্বপ্ন ও অনাগত ভবিষ্যৎ।
দুর্ঘটনার পর রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যথারীতি বলা হয়, ভবনের অনুমোদন ছিল না, থাকলেও আংশিক, বিল্ডিং কোড মানা হয়নি, ছিল না প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে ভবন মালিককে সতর্ক করা হয়েছিল ইত্যাদি। কিন্তু প্রথম প্রশ্ন হল- আগুন লাগার আগে তারা কী করেছেন?
নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের কাজ কি শুধু সতর্ক করা পর্যন্ত? না, আইন অনুযায়ী নির্দেশনা মানতে বাধ্য করতে সব পদক্ষেপ নেয়া? যদি সেটি না করা হয় তাহলে এসব দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির দায় সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এড়াতে পারে? এমন প্রশ্ন সচতেন মহল ও বিশেষজ্ঞদের।
রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে (ফারুক-রূপায়ন) বৃহস্পতিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর দেখা গেছে, অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রশ্নগুলো সামনে উঠে এসেছে- ভবনের প্ল্যান অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় কোনো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে কিনা, অনুমোদিত প্ল্যানের বাইরে বিল্ডিং নির্মাণ হয়েছে কিনা, হয়ে থাকলে এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত, ডেভেলপার, ভবন মালিক এমনকি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কেউ জড়িত কিনা। এছাড়া এভাবে আগুন না লাগলে এ বিষয়গুলো সামনে আসত কিনা।
এ প্রসঙ্গে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। এক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনা হবে। এ ধরনের ঘটনায় জমির মালিক, ডেভেলপার বা রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারী যেই জড়িত থাকুক না কেন কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা যারা টাকার লোভে ঘটায়, সেই নরপিশাচদের সর্বোচ্চ আইনি আওতায় এনে যে ব্যবস্থা নেয়া দরকার, দ্রুতগতিতে আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ