দিনে করেন চাকুরী, রাতে করেন ডাকাতি
ই-বার্তা ডেস্ক।। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরি করেন মুন্সী বাপ্পী। গত ১ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি সাইকেল যোগে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ তার পথ অবরোধ করে সাইকেল থামিয়ে মাথায় উপর্যুপরি ইট হঠাৎ মাথায় ইটের আঘাত করে তার কাছে থাকা লাখ খানেক টাকা ও মোবাইল কেড়ে নেয় ডাকাত দল।
বিষয়টি জানিয়ে র্যাব-১ এর কাছে অভিযোগ করেন বাপ্পী। এরপর র্যাবের অভিযানে রবিবার রাতে দিয়াবাড়ী এলাকা থেকে ওই চক্রের হোতাসহ ৯ যুবককে আটক করা করা হয়।
র্যাব-১ জানিয়েছে, চক্রের সদস্যরা দিনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সন্ধ্যার পর তারা দিয়াবাড়ী এলাকায় ১০-১২ একসাথে মিলিত হয়ে এক অভিনব পন্থায় ডাকাতি করে। এলাকায় বেড়াতে যাওয়া কিংবা চলাচলারত লোকদেরকে টার্গেট করে মোবাইল, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নিতেন ওই দলের সদস্যরা। এই চক্রটি ইয়াবা ব্যাবসার সিন্ডিকেট ও গড়ে তোলে এলাকায় ।
আজ ৪ মার্চ, সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম জানান, ডাকাত দলটি দীর্ঘদিন ধরে দিয়াবাড়ী এলাকায় ডাকাতি চালিয়ে আসছিল। ওই রোডে চলাচলরত প্রাইভেটকারকে টার্গেট করতো চক্রটি। চলন্ত গাড়ি থামানোর জন্য রশি ও রোড ব্লকার ব্যবহার করতো। কোনো কোনো গাড়ির পেছন থেকে পাথর বা ইট ছুড়ে চালককে গাড়ি থামাতে বাধ্য করতো। কখনো বা গাড়ির সামনের গ্লাসে ডিম ছুড়ে মারতো। ফলে চালক কিছুই দেখতে না পেয়ে গাড়ি থামাতে বাধ্য হতেন। সেই সুযোগে অস্ত্র দিয়ে জিম্মি করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে রে সবকিছু লুট করে পালিয়ে যেত চক্রটি।
আটক স্বাধীন এ চক্রের মূলহোতাবলে জানান র্যাব অধিনায়ক। স্বাধীনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে এই চক্রটি গড়ে তোলে।সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘দিয়াবাড়ী এলাকায় আরও দুটি ডাকাত দল সক্রিয় রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
ই-বার্তা/ আরমান হোসেন