নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চায় সরকার: কাদের
বিদায়ী বছরে সরকারের কার্যক্রমের মূল্যায়ন করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পুরো বছর যে সাফল্যে ভরা ছিল তা নয়, কিছুটা ভুলভ্রান্তি ও ব্যর্থতা আছে। নতুন বছর গণতন্ত্র এবং সুশাসনের অগ্রগতি হবে।
ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনকে নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চায় সরকার। ২০১৯ সালের শেষ দিনে মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাতে তিনি জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশনে নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোট। ইভিএমে ভোট নেওয়া হবে এই নির্বাচনে। ইভিএমে নিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইভিএম ত্রুটিযুক্ত করার কারণ নেই। এতে কারসাজি করার কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপির পুরনো অভ্যাস, নির্বাচনের আগেই তারা হেরে যায়। তারা নির্বাচনের আগেই বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, কারচুপি হবে, কিন্তু পরে দেখা যায় তারা জয়ী হয়েছে, যেমন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। বিএনপিকে নির্বাচনে মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেছেন, বিএনপির একেক নেতা একেক কথা বলেন। তারা নির্বাচনে এসেছেন এবং বলেছেন নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবেন। তারপরও এত কথা কেনো? ২০১৯ সালের কাজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের স্মরণ করেন তার অসুস্থতার কথাও।
তিনি বলেন, বছরজুড়েই আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন ছিল। ২৯ জেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে। অসুস্থতার সময় বাদে বাকি বছর ভালই কেটেছে। মন্ত্রিসভার এক বছরের কাজের মূল্যায়নে ওবায়দুল কাদের বলেন, নতুন সরকারে নতুন মুখ এসেছে। তাদের পারফরম্যান্সও ভালো। তারপরও কিছু ভুলভ্রান্তি ও ব্যর্থতা রয়েছে। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বছরে এগিয়ে যেতে হবে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, পদ্মাসেতুর ২০তম স্প্যান মঙ্গলবার বসেছে। এখন থেকে প্রতিমাসে তিনটি স্প্যান বসবে। কর্ণফুলী টানেলের কাজ ৫০ ভাগ শেষ হয়েছে। মেট্রোরেলের কাজও এগিয়ে চলছে।