ই-বার্তা ডেস্ক ।। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশি সুপার এগ্রো লিমিটেডের হিমাগার থেকে ৮০০ মণ পচা মাংস জব্দ করা হয়। ওই হিমাগারের মাংসের প্রধান ক্রেতা দেশের নামিদামি সুপারশপগুলো। পচা মাংস জব্দের পর এসব পণ্যের আমদানিকারক ও হিমাগারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা-জরিমানা হলেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি অভিযুক্ত সুপারশপগুলোর বিরুদ্ধে। যদিও এ প্রতিষ্ঠানগুলোই ভোক্তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এসব পণ্য।
হিমাগার থেকে যে চালানপত্র এবং গ্রাহক তালিকা জব্দ করা হয়েছে তাতে সাফ প্রমাণ রয়েছে এসব পচা মাংসের ক্রেতা ছিল এসিআই গ্রুপের সুপারশপ স্বপ্ন, জেমকন গ্রুপের মীনাবাজার ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ডেইলি শপিং। নির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলেও এ পর্যন্ত সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা অভিযুক্ত সুপারশপগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, নেয়নি পদক্ষেপও।
প্রশ্ন উঠেছে বিপুল পরিমাণ পচা মাংস উদ্ধারের আতঙ্কজনক ঘটনাটি কী তবে চাপা পড়ে যাচ্ছে? কেন এ নিয়ে সরকারের কোনো সংস্থা আর এগুচ্ছে না? সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঞ্চল্যকর এ উদ্ধার অভিযানের পরবর্তী অগ্রগতি বিষয়ে জানতে অনুসন্ধানে নামে খোলাকাগজ। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, জনস্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এ ধরনের ঘটনা বন্ধে কোনো সংস্থা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা এখনো নেয়নি।
ঘটনার দিন হিমাগারে অভিযান পরিচালনা করেছিল র্যাব-২ ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। তাই এ বিষয়ে অগ্রগতি জানতে প্রথম দফায় যোগাযোগ করা হয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে। অভিযানের দিন উপস্থিত থাকা ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এমদাদুল হক তালুকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি র্যাব দেখছে। আমি শুধু পরীক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। আরও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা সেটাও তাদের (র্যাবের) ওপর নির্ভর করছে। এ বিষয়ে আমরা কোনো ব্যবস্থা নেইনি।’
র্যাব এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ওই অভিযানে দেশি সুপার এগ্রো লিমিটেডের পাশাপাশি অরেকটি হিমাগারে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ মাংসের পাশাপাশি খেজুর, পনির, শুঁটকি ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য জব্দ করা হয়েছিল। ৫ মাস আগে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া দুম্বা ও মহিষের মাংস আমদানি করা হয়েছিল ইথিওপিয়া ও ভারত থেকে। ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠান দুটোকে মোট ৩২ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়।
বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া