পদ্মা সেতুতে যুক্ত হচ্ছে দ্বিতীয় স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) ৭বি
শনিবার সকাল থেকেই স্প্যান বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর আগে কয়েকদফা এটি বসানোর কথা থাকলেও বসানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে প্রকৌশলীরা জানান, দ্বিতীয় স্প্যানটি বসছে ৩৮ নম্বর এবং ৩৯ নম্বর খুঁটিতে। এটি ৩৮ নম্বর খুঁটিরর প্রথম স্প্যানের সঙ্গে স্থায়ীভাবে ওয়েল্ডিং করে দেয়া হবে। কিন্তু এ ওয়েল্ডিংয়ের আগে এর লোড বহনের জন্য লিফটিং ফ্রেম তৈরি করা হয়েছে। যা ১৮শ’ টন ওজন বহন করবে। কিন্তু এটি এ ওজন বহনে সক্ষম কিনা তা পরীক্ষার টেস্ট পাইল স্থাপন করা হয়।
শুক্রবার অপসারণ সম্পন্ন হয়ে নৌপথটি চলাচলযোগ্য হয়। তাই শনিবার সকালেই স্প্যানবাহী জাহাজটি যথাযথ স্থান অর্থ্যাৎ ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটির মাঝামাঝি নিয়ে যাওয়া হয়।
শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় এক প্রকৌশলী জানান, স্প্যানটি ক্রেন নিচু করে ধরে রেখেছিল। এখন উঁচু করে রাখা হয়েছে। এরপর ৩৬শ’ টন ধারন ক্ষমতার এ ভাসমান ক্রেনের জাহাজ ‘তিয়ান ই’ স্প্যানটি পাজা করে নিয়ে বসিয়ে দিবে খুঁটি দু’টির ওপর।
বৈচিত্রময় পদ্মা সেতুতে এ অগ্রগতিও অনেক অর্জন। তবে এসব চ্যালেঞ্জ না থাকলে নির্ধারিত সময়ের আগেই সেতু জনগণের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব হতো। কারণ এত গভীরতায় পাইল করে প্রায় ১০০ বছরের স্থয়িত্বে এ সেতু তৈরি করা হচ্ছে। যা বাঙালি বীরত্বগাথাঁয় রূপান্তর হয়েছে।
তবে কল্পদৃশ্যে কোনোটিই ঠিক নাও হতে পারে। কারণ, পদ্মা সেতুর রূপ হবে ইংরেজি “এস” বর্ণের মতো। এমনটিই জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম। তিনি জানান “এস”বর্ণের আদলেই গড়ে তোলা হচ্ছে পদ্মা সেতু। এ বর্ণের মতো করেই একের পর এক স্প্যান বসানো হবে।