পবিত্র শবে বরাত রাতে পাপমুক্তির আশায় ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা
ই-বার্তা ডেস্ক ।। পবিত্র শবে বরাত আজ। ইবাদত ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। মহিমান্বিত এই রাতে পাপমুক্তির আশায় ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল আছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ছবিঃ সংগৃহীত।
রোববার রাতে এশার নামাজের সময় রাজধানীর বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। মসজিদগুলোতে নামাজের পর শুরু হয় শবে বরাতের নফল ইবাদত। হিজরি শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তারিখের মধ্যবর্তী রাত শবে বরাত। এই রাতে আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য খুলে দেন রহমতের দরজা।
শবে বরাতের রাতে নামাজ পড়তে মাগরিবের নামাজের পর থেকে ঢাকার মসজিদগুলোতে নামে মুসল্লিদের স্রোত। আল্লাহর নৈকট্যলাভ ও পাপ থেকে মুক্তির আশায় মুসল্লিরা মসজিদে মসজিদে স্রষ্টার ইবাদতে মশগুল হয়ে আছেন। কেউ জিকির-আযকার করছেন কেউবা নফল নামাজ বা কুরআন তিলাওয়াত করছেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অতীতের ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে পরিশুদ্ধ জীবনযাপনের সামর্থ্য কামনা করে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করছেন আর চোখের পানি ফেলছেন। আগামী যেন পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে চলতে পারেন সেজন্যও দোয়া করছেন তারা।
শুধু মসজিদেই নয় বাসাবাড়িতেও অনেকে নফল নামাজ আদায়, জিকির, আসকার করছেন। অনেকে কবর জিয়ারত করছেন। রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করতে আসা রফিকুল বলেন, আট বছর আগে বাবা মারা গেছেন। আজকের রাতে বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। তাই কবর জিয়ারত করতে এসেছি। আল্লাহ যেন বাবাকে মাফ করে দেন।’
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, ইস্কাটন মসজিদ, সেগুনবাগিচা মসজিদ, বেইলি রোড এলাকার বেশ কয়েকটি মসজিদ ঘুরে মুসল্লিদের ইবাদতে মশগুল থাকতে দেখা গেছে। এশার আজান শুরুর আগেই মসজিদগুলো মুসল্লিতে ভরে যায়। এশার জামাতে মসজিদে জায়গা না পেয়ে ছাদে গিয়ে মুসল্লিদের এশার জামাতে শামিল হতে দেখা গেছে। নামাজের পর থেকে অনেক মসজিদে শবে বরাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য দেন ইমামরা।
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, হামদ-নাতসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে রাজধানীর মসজিদগুলোর পাশে আতর, টুপি, মেসওয়াক, তসবিহ, মাস্ক, আগরবাতি, মোমবাতি, জায়নামাজ, পাঞ্জাবি, পাজামা, নামাজ শিক্ষা ও দোয়া-দরুদের বই, মুখরোচক নানা খাবার, শরবত, চায়ের স্টলসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। বেশ কিছু দোকানে বর্ণিল বাতি দিয়ে সাজানো দেখা গেছে। কিছু মসজিদে বাড়তি মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে মসজিদের ছাদ, বারান্দা ও সড়কের একপাশে জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।