পাকিস্তানকে জবাব দিতে কতটুকু প্রস্তুত ভারতীয় সেনাবাহিনী?
ই-বার্তা ডেস্ক।। গত বছর ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল সরথ চাঁদ সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছিলেন, সেনাদের শতকরা ৬৮ ভাগ অস্ত্রশস্ত্রই পুরোনো। মাত্র ৮ শতাংশ অস্ত্রশস্ত্র অত্যাধুনিক। ২৪ শতাংশ অস্ত্রশস্ত্রকে নতুন বলা চলে। এই বেহাল অবস্থার পরেও মোদী সরকারের কাছ থেকে বরাদ্দ মিলছে না।
পুলওয়ামায় হামলার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে সামরিক বাহিনীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, সামরিক বাহিনী তৈরি তো? সামরিক বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, ২০১৬ সালে উরি সার্জিকাল স্ট্রাইকে সেনাদের সাফল্য নিয়ে মোদী সরকার ঢাক-ঢোল পিটিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান এবং টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা সেনাবাহিনীর রয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলার পরে বিজেপি সরকার নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর বিপুলসংখ্যায় সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ৫ লাখ জওয়ান, তিনটি ট্যাঙ্কসজ্জিত ডিভিশন ও তাদের সঙ্গে স্ট্রাইক কোর মোতায়েন করতে তিন মাস সময় লেগে যায়। ততদিনে পাকিস্তানি সেনারা নিয়ন্ত্রণ রেখার উল্টোদিকে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে ফেলেছিল।
এর পরেই ‘কোল্ড স্টার্ট ডকট্রিন’, অর্থাত্ সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণ রেখায় দ্রুত সেনা মোতায়েনের রণকৌশল তৈরি করে সেনারা। সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়ত আগেই বলেছেন, সেই নীতি মেনে এখন ৮ থেকে ১০ হাজার সেনা, কামান, ট্যাঙ্ক, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার বিধ্বংসী অস্ত্র নিয়ে আট থেকে ১০টি ‘ইন্টিগ্রেটেড ব্যাটল গ্রুপ’ বা ‘আইবিজি’ তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু তার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই।
সেনাবাহিনীর সূত্রের বলা হয়েছে, যথেষ্ট যুদ্ধের ট্যাঙ্ক নেই। স্বয়ংক্রিয় কামান, আকাশ হামলা থেকে ট্যাঙ্ক বাহিনীকে রক্ষা করার জন্য ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’-এর অভাব রয়েছে। আর পুরোদমে যুদ্ধ হলে দু’সপ্তাহের আগেই গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাবে। বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বীরেন্দ্র সিংহ ধানোয়া বলেছেন, অনুমোদিত ৪২ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমানের মধ্যে মাত্র ৩১ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান রয়েছে। এস-৪০০, রাফাল যুদ্ধবিমান এলে ঘাটতি কিছুটা মিটবে।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু