পারস্য উপসাগরে ব্রিটিশদের তৃতীয় যুদ্ধজাহাজ
ই-বার্তা।। পারস্য উপসাগরে এবার তৃতীয় যুদ্ধজাহাজ ভেড়াচ্ছে ব্রিটিশরা। ব্রিটিশ সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ৷ ইতোমধ্যেই জিব্রাল্টার প্রণালীতে ব্রিটিশ নৌবাহিনী অবৈধভাবে একটি ইরানি তেল ট্যাংকার আটক করাকে ঘিরে তেহরানের সঙ্গে লন্ডনের সম্পর্কে অবনতি হতে দেখা যায় আর তারই প্রেক্ষিতে এই ঘোষণা দিল বিট্রিশরা।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে পারস্য উপসাগরে মোতায়েন করা হবে ‘এইচএমএস কেন্ট’ যুদ্ধজাহাজ।
কৌশলগত দিক থেকে ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় দাবি করেছে। তাছাড়া বলা হয়েছে, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা’র কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এর সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনা কোনও সম্পর্ক নেই।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে এখন যে ‘এইচএমএস মন্ট্রোস’ নামে যুদ্ধজাহাজটি রয়েছে সেটিকে মেরামতের জন্য ব্রিটেনে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। পরিবর্তে পাঠানো হচ্ছে ‘এইচএমএস ডানকান’ নামে একটি ডেস্ট্রয়ার ।
আগামী সপ্তাহে ডানকান পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করবে বলে জানানো হয়েছে।
চলতি মাসের গোড়াতে জিব্রাল্টার প্রণালী থেকে ব্রিটেন একটি ইরানি সুপার তেল ট্যাংকার আটক করলে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং একই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল ব্রিটেন।
স্পেন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ‘গ্রেস-১’ নামের তেল ট্যাংকারটি আটক করে ব্রিটেন। যদিও লন্ডনের দাবি , তেল ট্যাংকারটি সিরিয়ায় যাচ্ছিল দেখে সেটিকে আটকায় কারণ সিরিয়ায় তেল রফতানির উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা তখন লঙ্ঘিত হয়েছিল।
কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ ব্রিটেনের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সিরিয়াকে নয় বরং ইরানকে টার্গেট করে গ্রেস-১ আটক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার যে চেষ্টা করছে তার জের ধরে ওয়াশিংটনের অনুরোধে লন্ডন এ কাজ করেছে। জারিফ আরো বলেন, ব্রিটেনের এ আচরণে প্রমাণ হয় দেশটি পরমাণু সমঝোতা রক্ষার লক্ষ্যে চেষ্টা করার যে দাবি করছে তা সত্য নয়।