পুলিশি অনুমতি না থাকায় র্যালি করতে পারেনি বিএনপি
ই- বার্তা ডেস্ক।। বিএনপি পুলিশি অনুমতি না থাকায় র্যালি করতে পারেনি। ‘আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস’ উপলক্ষে আজ বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১০ টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে এ র্যালি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি শুরু হবে। এতে বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন।
কিন্তু আজ সকাল ১০ থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির শীর্ষ কোনো নেতাকে দেখায় যায়নি। সেখানে শুধু দলের যুগ্ম-সচিব খাইরুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবদলের এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীকে দেখা গেছে। কিন্তু তারা র্যালি করতে নামেননি।
সকাল ১১ টার দিকে বিএনপি’র পক্ষ থেকে র্যালির অনুমতির জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। পরে দুপুর পৌনে একটার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি নেতারা।
সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি দেশে এই দিবস পালন করেছে। বিএনপি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। কিন্তু আমাদের এই কর্মসূচি পালন করতে দিল না।’
‘আমরা অনুমতি চেয়ে চিঠিও পাঠালাম। তারপরও অনুমতি দিল না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কারণ, এটা প্রচার হলে সরকার লজ্জা পাবে। আজকে যা ঘটছে— নিপীড়ন-নির্যাতন-হয়রানি, দিনের পর দিন রিমান্ড। কোনো মানুষই পুলিশী নির্যাতন থেকে রেহায় পাচ্ছে না। এ সবের বিরুদ্ধে কথা বললে, সেটি জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের চোখে পড়বে। তাই আমাদেরকে র্যালি করতে দিল না’— বলেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ সরকারের পক্ষে নেই। এই প্রধানমন্ত্রীর সোনার পালঙ্ক অটুট থাকবে না। জনগণ যার সঙ্গে না থাকে, তার ক্ষমতা দীর্ঘয়িত হতে পারে না। এইবার তার পতনের সময় এসেছে। দিক থেকে দিগন্তে পতনের আওয়াজ শুরু হয়েছে। এই আওয়াজে শেখ হাসিনার পতন অবশ্যম্ভাবী।’
ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম