প্যারিস মুখ খুললেন বাবার ‘যৌন হয়রানি’ নিয়ে
ই-বার্তা ডেস্ক ।। বাবা মাইকেল জ্যাকসন যৌন হয়রানি করেছিলেন, এমনটা ছোটবেলা থেকেই শুনেছেন প্যারিস জ্যাকসন। কিন্তু তা নিয়ে কখনো কোনো মন্তব্য করেননি। বাবা নেই, তাই তাঁকে নিয়ে যেন কোনো বিতর্ক না হয়, তা-ই চেয়েছিলেন। এবার আর থেমে থাকতে পারলেন না। বাবার এক ভক্তের জন্য দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙেছেন এই পপ সম্রাটের মেয়ে।
মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি হয়েছে। নাম ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’। মাইকেল জ্যাকসনের কাছে যৌন হয়রানির শিকার দুই শিশুর তরুণ বয়সের ভাষ্যের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্রটি।
২৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের সানডান্স চলচ্চিত্র উৎসবে ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ তথ্যচিত্রের উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে।
এরপর তথ্যচিত্রটির তীব্র সমালোচনা করেছে মাইকেল জ্যাকসনের পরিবার। এক বিবৃতি এই পরিবার থেকে বলা হয়েছে, ‘সারা জীবন এ রকম নোংরা আক্রমণ মোকাবিলা করতে হয়েছে মাইকেল জ্যাকসনকে। এমনকি এখনো করতে হচ্ছে। জ্যাকসন কখনোই শিশুদের সঙ্গে বাজে আচরণ করতেন না। বরং সব সময় তিনি তাদের আদর করতেন। জ্যাকসনের খ্যাতিকে নোংরাভাবে ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
এদিকে টুইটারে প্যারিস জ্যাকসনকে নীরবতা ভাঙার আহ্বান জানিয়ে মাইকেল জ্যাকসনের এক ভক্ত লিখেছেন, ‘এই তথ্যচিত্রের মধ্য দিয়ে আপনার বাবার সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে, তাঁকে নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। কিন্তু তাতে কার কী আসে যায়!’
টুইটটি অভিনয়শিল্পী প্যারিস জ্যাকসনের চোখ এড়ায়নি। তিনি নীরবতা ভাঙার প্রয়োজন উপলব্ধি করেন। টুইটারে সেই ভক্তকে লিখেছেন, ‘তাহলে ভালোবাসা নয়, শান্তি নয়, আপনার কাছে কেবল এই নেতিবাচক বার্তা গেল? সব ছাড়িয়ে ট্যাবলয়েড আর মিথ্যা বড় হলো?’
দ্বিমত পোষণ করে ভক্ত টুইটারে আবার লিখেছেন, ‘না, তাঁরা মাইকেল জ্যাকসনের নামকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে চায়, তাঁর সব গান থামিয়ে দিতে চায়। এগুলো তাহলে আপনার কাছে কোনো বিষয়ই না! ভুলে যাবেন না, আপনার বাবা এই গানের জন্যই মারা গেছেন।’
জবাবে প্যারিস লিখেন, ‘তারা সত্যিই এটি করেছে? আমি তো মনে করি, তাঁরা মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছে। হ্যাঁ, তাঁদের নির্মাণে ভিন্নতা ছিল। আপনি কি আসলেই বিশ্বাস করছেন, এভাবে মাইকেল জ্যাকসনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা সম্ভব? সেটা কি আদৌ হতে পারে? প্লিজ, শান্ত হন এবং শান্তিতে থাকুন।’
ই-বার্তা / শাহাদাত ছৈয়াল