প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দিলেন বুফন
ই-বার্তা।। আবার কি ইতালির জার্সি গায়ে দেখা যাবে জানলুইজি বুফনকে? সে রকম সম্ভাবনা কিন্তু ভালমতোই তৈরি হয়েছে। স্বয়ং বুফনই জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। বুফন জানিয়েছেন, পরের মাসে ইংল্যান্ড এবং আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে যদি তাঁকে দলে রাখা হয়, তবে তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে পারেন।
গত বছর সুইডেনের বিরুদ্ধে ড্র করে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বেই ছিটকে গিয়েছিল ইতালি। যে ম্যাচ শেষে ইতালির জার্সি খুলে রেখেছিলেন ৪০ বছর বয়সি এই গোলকিপার। কিন্তু সোমবারই ইতালির অস্থায়ী কোচ লুইজি দি বিয়াজিও বলেছিলেন, ওই ভাবে বুফনের বর্ণময় ফুটবল জীবন শেষ হয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। যার পরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তা হলে কি বুফনকে ফেরানোর কোনও ভাবনা আছে ইতালির কোচের?
এই জল্পনা আরও উস্কে দিয়ে মঙ্গলবার বুফন বলেছেন, ‘‘অমি ভেবেছিলাম পরিবারের সঙ্গে কয়েক দিনের ছুটিতে বাইরে যাব। কিন্তু জাতীয় দলের যদি আপনাকে প্রয়োজন হয়, তা হলে আপনি তো দলকে ছেড়ে চলে যেতে পারেন না।’’ বুফনকে প্রশ্ন করা হয়, ইতালীয় কোচ যা বলেছেন সে সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? বুফনের বক্তব্য, ‘‘কোচ যা বলেছেন, তার সঙ্গে আমি আর বাড়তি কী যোগ করব। শুধু এটুকু বলতে চাই, জাতীয় দলের প্রতি আমার একটা দায়িত্ব আছে, একটা দায়বদ্ধতা আছে। আমাদের দল এখন একটা পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় জাতীয় দলের স্বার্থ সবার আগে আসবে।’’
এর আগে লিওনেল মেসিও শতবর্ষের কোপা আমেরিকা ফাইনালে হেরে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে আর্জেন্টিনার জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবার ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। দুরন্ত খেলে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের মূলপর্বেও তোলেন। বুফন ফিরে এলেও তাঁর পক্ষে আর বিশ্বকাপ খেলা সম্ভব নয়। কারণ ইতালি ইতিমধ্যেই ছিটকে গিয়েছে যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে।
বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা না থাকলেও ফিরে আসার ব্যাপারে কিন্তু আগ্রহী বুফন। ইতালির কিংবদন্তি এই গোলকিপার বলেছেন, ‘‘আমি আবার বলছি, এটা ইতালির প্রতি আমার আনুগত্য এবং দায়িত্ববোধ থেকে একটা উপলব্ধি। একটা নতুন ইতালির জন্ম হচ্ছে। এই সময় প্রথম ম্যাচগুলো খেলা কঠিন হয়। বিশেষ করে উল্টো দিকে যদি ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনার মতো প্রতিপক্ষ থাকে। তাই আমার মনে হয়, দলে একজন অভিজ্ঞ ফুটবলার থাকা ভাল। যে অন্তত জুনিয়রদের পরামর্শ দিতে পারবে।’’