প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই ভ্যাকসিন ছাড়তে চায় যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নভেম্বরে। তার আগেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগুচ্ছে দেশটির প্রশাসন। অক্টোবরের শেষ কিংবা নভেম্বরের শুরুতে দেশটি করোনার ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অক্টোবর ও নভেম্বরে করোনার সীমিত সংখ্যক ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়া হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য ও পাঁচটি বড় শহরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। সিডিসি অক্টোবরের শেষে একটি নয়, করোনার দুটি ভ্যাকসিন বাজারে ছাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য সরকারগুলোকে লেখা এক চিঠিতে আগামী ১ নভেম্বরের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন বিতরণ কেন্দ্রগুলো পুরোপুরি কার্যকরের ডাক দিয়েছে সিডিসি। গত ২৭ আগস্ট লেখা ওই চিঠিতে সিডিসি প্রধান রবার্ট রেডফিল্ড রাজ্যগুলোকে অনুমতির প্রক্রিয়ার সময় কমিয়ে জরুরি ভিত্তিতে জনসাধারণের জন্য স্বাস্থ্য কর্মসূচি সম্ভব করার ওপর জোর দিয়েছেন।
এর আগে দেশটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফৌসি জানান, করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে কোনটি নিরাপদ সে সম্পর্কে নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরের মধ্যেই পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে। তবে সিডিসির কথায় আরও আগে করোনার টিকা বাজারে ছাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে।
ট্রায়াল ও উৎপাদনের গতি বাড়িয়ে চলতি বছরের মধ্যেই করোনার প্রতিষেধক বাজারে ছাড়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে দুই মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা মোদার্না ও ফাইজার। জানা গেছে, এই দুই সংস্থাই আলাদাভাবে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর তাদের তৈরি করোনার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করে দিয়েছে।
সংস্থা দুটির তৈরি করোনার ভ্যাকসিনই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ছাড়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিডিসির মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, পহেলা নভেম্বর থেকেই হয়েতো যুক্তরাষ্ট্রের করোনা ভ্যাকসিন বণ্টনের কাজ শুরু হবে।
মহামারি করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে একমাত্র ভ্যাকসিনের দিকেই তাকিয়ে আছে সারাবিশ্ব। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এর মধ্যেই ভ্যাকসিন উন্নয়নের কাজ অনেকটাই এগিয়ে এনেছেন। তবে বেশকিছু দেশের হাতে ইতোমধ্যে করোনার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। এই দৌড়ে এগিয়ে আছে চীন ও রাশিয়া। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রও যত দ্রুত সম্ভব করোনার ভ্যাকসিন দিয়েই এ ভাইরাসে বিস্তাররোধ করতে চাচ্ছে।