ফেলানী হত্যার ৮ বছর
ই-বার্তা ডেস্ক ।। কুড়িগ্রাম সীমান্তে ঘটে যাওয়া ফেলানী হত্যার ৮ বছর পূর্তি আজ। নাগেশ্বরী উপজেলার নূরল ইসলাম ও জাহানারা বেগম দম্পত্তির প্রথম সন্তান ছিলেন ফেলানী । এই হত্যা দেশ-বিদেশে ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও এখনো ন্যায় বিচার পায়নি নিহতের পরিবার।
২০১১ সালের এই দিনে মই বেয়ে কাঁটাতার ডিঙ্গিয়ে বাবার সঙ্গে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তর অনন্তপুর সীমান্তে টহলরত চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ গুলি করে হত্যা করে তাকে। কাঁটাতারে ফেলানীর ঝুলন্ত লাশের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
পরে বাংলাদেশ সরকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবাদের মুখে বিচারের ব্যবস্থা হলেও বেকসুর খালাস পায় হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ। সেই রায়ে ফেলানীর পরিবার আপত্তি জানালে বিএসএফ মহাপরিচালক রায় পুনর্বিবেচনার আদেশ দেন। যার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ২২সেপ্টেম্বর নতুন করে শুনানি শুরু হয়। একই আদালতে বিচার কাজ পরিচালিত হওয়ায় পুরোনো রায় বহাল রাখে বিচারকেরা। এ মামলায় দু’বার কোচবিহার গিয়ে সাক্ষ্য দেন ফেলানীর বাবা। ন্যায় বিচারের জন্য আবারও ভারত সরকারের কাছে আবেদন করে নিহতের বাবা।
আলোচিত এ হত্যা মামলার পুনর্বিচারের রায়ে অভিযুক্ত অমিয় ঘোষ নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাওয়ায় ভারতীয় বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলার আইন সহায়তাকারী কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।
ই-বার্তা /মোঃ সালাউদ্দিন সাজু