বন্ধুকে খুন করে রক্তপান!
ই-বার্তা ডেস্ক।। ডাক্তারি পাশের কোনও সার্টিফিকেট ছিল না। কিন্তু দিব্যি চিকিৎসকের কাজ পেয়েছিলেন একটি হাসপাতালে। প্রায় দুই দশক আগে স্কুলের সহপাঠীকে খুন করে তার রক্তপান করেন ভ্যাম্পায়ার ডাক্তার।
এবার জাল সার্টিফিকেট ও অতীতে এ রকম একটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ভ্যাম্পায়ার ডাক্তারকে। ঘটনাটি রাশিয়ার উরালস সিটিতে ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩৬ বছরের ওই ব্যক্তির নাম বরিস কোন্দ্রাশিন। ১৯৯৮ সালে তিনি নিজেকে ভ্যাম্পায়ার হিসেবে ভাবতেন। খেলতে খেলতে এক সহপাঠী ও বন্ধুকে খুন করে দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে তার রক্তপান করেন। ২০০০ সালে একটি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয় বরিসকে। সেখানে তার হোমিসিডাল সিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসা চলে।
চিকিৎসকদের তিনি জানান, অবচেতন মনে কীভাবে খুন করে ফেলেছেন, তা বুঝতে পারেননি তিনি। প্রায় দশ বছর চিকিৎসা চলার পর ছাড়া পান বরিস। পুলিশ জানায়, ভূয়া কাগজ পত্র দিয়ে কিভাবে হাসপাতালে কাজ পেলেন তিনি তা তদন্ত করে দেখা হবে।
সূত্র মতে, বরিসের চিকিৎসকরা ওই হাসপাতালে একদিন এসে তাকে দেখে অবাক হয়ে যান। তারপরই তারা পুলিশে অভিযোগ করেন। আটক করা হয় বরিসকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার ডিগ্রি ও অন্যান্য সার্টিফিকেট দেখার পর তাকে বরখাস্ত করে।
বরিসের বোন বলেন, তার ভাই যে চাকরি করছে সেটা বাড়ির লোকরা জানতই না। চিকিৎসকরা তাকে পাভলভ থেকে ছেড়ে দিলেও মাঝেমাঝে চিকিৎসকদের কাছে যেতে হয় তাকে।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু