বরিশালে এক তরুণীর ফাঁদে প্রতারিত হয়েছে ছয় যুবক!
ই-বার্তা ডেস্ক ।। বয়স ২৫ পেরোয়নি কিন্তু এরইমধ্যে করে ফেলেছেন ছয়টি বিয়ে। মূলত এর প্রধান উদ্দেশ্য সংসারী হতে নয় বরং বিয়ের পর প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া।
বরিশালের সায়েস্তাবাদ এলাকার সুলতানা আক্তার মিতু ওরফে কহিনুর নামের এ তরুণীর এমন প্রতারণার ফাঁদে সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেক যুবক।তার এসব কর্মকাণ্ডে রীতিমত ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বরিশাল পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে স্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন অর্ধশতাধিক স্থানীয়। আর ওই অভিযোগে মিতুর ছয়টি বিয়ের প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে সায়েস্তাবাদের দক্ষিণ চরআইচার সুলতানা আক্তার মিতু ওরফে কহিনুরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী এলাকার মন্টু শরিফের বিয়ে হয়। এর মাঝে ফেনীর সাইফুল ইসলাম বাকেরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মিতু। পরে মন্টুকে ছেড়ে সাইফুলকে বিয়ে করে তার অর্থ হাতিয়ে বরিশালে ফিরে আসেন তিনি।এলাকায় ফিরে এসেই পুরনো চরিত্রে ফিরে যান মিতু। আনোয়ার হোসেন রিপন নামের যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন। রিপন সম্পর্কে তার ভাগনি জামাই হয়।
বিয়ের কয়েক মাস পর রিপনকেও ছেড়ে দেন মিতু। এসময় পিরোজপুরের স্বরূপকাঠির মো. আমিনুল মাস্টারকে বিয়ে করেন। সেই আমিনুল মাস্টারকেও তালাক দিয়ে এরপর আরেকটি বিয়ে করেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়জন পুরুষ মিতুর লালসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগে লেখা হয়েছে।
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, এসব বিয়ের কোনোটিরই প্রকৃত কাবিননামা নেই। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে এসব বিয়ে করেছেন মিতু।
সম্প্রতি তালতলী এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে মিতু অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন থানায় অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। এরপরই মিতুর আগের কর্মকাণ্ড বিষয় প্রকাশ্যে আসতে থাকে।
এই বিষয়ে বরিশাল পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার শারমিন সুলতানা রাখি বলেন, একটি অভিযোগ এসেছে। তবে এর আগেই ওই বাসা থেকে অভিযুক্ত নারীকে তাড়িয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী।
ই-বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম