বলিউডের ব্যাড বয় ভেঙে পড়লেন কান্নায়
ই-বার্তা।।বলিউডের ব্যাড বয় মানে যে সঞ্জয় দত্ত, তা নিশ্চই বুঝে গিয়েছেন৷ বিনোদনের দুনিয়ায় লিজেন্ডারি অভিনেতা হলেও, সঞ্জয় দত্তের কাছে কিন্তু সবচেয়ে কাছের মানুষ তিনি৷ কথা হচ্ছে তাঁর মা নার্গিসের৷
প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে একটা টার্নিং পয়েন্ট আসে৷ যা মানুষটির মধ্যে এক আমূল পরিবর্তন আনে৷ তবে বলিউডের ব্যড বয়ের জীবনে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে আসেন একজন লিজেন্ডারি অভিনেত্রী৷
সঞ্জয় দত্ত এমন এক সেলেব্রিটি যাঁর জীবনের একটা গোটা অধ্যায় কেটেছে শুধু কন্ট্রোভার্সিকে ঘিরে৷ এমনকী ট্র্যাজিডিরও অভাব নেই৷
ডেবিউ ফিল্মের প্রিমিয়ারের ঠিক আগেই মা কে হারান তিনি৷ প্রথম স্ত্রী রিচা শর্মাও মারা যান ব্রেন টিউমারে৷ এরই মাঝে রিহ্যাব, ড্রাগ অ্যাডিকশন, পুলিস কেস সব কিছুতেই জড়াতে থাকেন এক এক করে৷
সেই কঠিন সময়কে অতিক্রম করে আজ তিনি যে জায়গায় এসে পৌঁছেছেন, তা সবটাই তাঁর মা নার্গিসের জন্য৷ ১৯৮১ সালে ৩ মে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন নার্গিস৷ সঞ্জয়ের ডেবিউ মুভি রকি রিলিজের ঠিক আগে৷ এরপরই ড্রাগের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন অভিনেতা৷ ১৯৯৩ মুম্বইয়ের বোমা বিস্ফোরনে সঞ্জয়ের নাম জড়ায়৷ রিহ্যাবে যেতে বাধ্য হন একটা সময়৷
রিহ্যাবে থাকাকালীনই এই পরিবর্তন দেখা দেয় তাঁর মধ্যে৷ পরিবর্তন আনে তাঁর মায়ের ভয়েস টেপ৷
নার্গিসের প্রয়াণের পর সুনিল দত্ত কিছু ভয়েস টেপ দেন সঞ্জয়কে৷ সেটা চালাবার পরই রিহ্যাবের ঘরটা নার্গিসের গলায় গমগম করতে থাকে৷ ভয়েস টেপটিতে নার্গিসের গলার স্বরে অদ্ভুত বিরহ, দুর্বলতা অনুভব করেন সঞ্জয়৷
কারণ, নার্গিসের জীবনের শেষ দিনগুলি কাটাবার সময়ই বেশ কিছু মনের কথা ব্যক্ত করে গিয়েছিলেন রেকর্ডিংগুলিতে৷ টেপটিতে নার্গিস বলতে থাকেন, “তোমার নম্রতা ভদ্রতা যেন সবসময়ে বজায় থাকে৷ গুরুজনদের কখনও অসম্মান করো না, নিজের ব্যক্তিত্বকে ধরে রেখো৷”