বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় মিয়ানমারের বৌদ্ধরা
ই-বার্তা ডেস্ক।। রাখাইন রাজ্য থেকে সেনাবাহিনীর নির্যাতন-ধর্ষণ-হত্যার মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। এবার মিয়ানমারে ‘যুদ্ধাবস্থার’ কারণে দেশটি থেকে বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও উপজাতীয় সম্প্রদায়ের মানুষ সীমান্তের শূণ্যরেখায় এসে জড়ো হয়েছেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘মূলত অরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের কারণে রোহিঙ্গাদের পর এবার বৌদ্ধসহ অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর লোকেরা দেশ ছাড়ছেন।’
স্থানীয়রা বলেন, রুমা উপজেলার রেমাক্রী প্রানসা সীমান্ত এলাকার শূণ্যরেখায় মিয়ানমারের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৪০ পরিবার অনুপ্রবেশের চেষ্টায় আছে। তীব্র শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। আশপাশের এলাকার মানুষজন তাদের খাদ্য দিয়ে সাহায্য করছেন।
সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সমন্বয়ে একটি দল সীমান্তে শরণার্থীদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ‘সীমান্ত এলাকায় শরণার্থীদের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর টিম পাঠানো হয়েছে। শরণার্থীদের মনোভাব জানার পর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
গত ডিসেম্বর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন ও চীন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের পর আতংকে খুমি, খেয়াং, বম ও রাখাইন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে থাকে। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী মুসলিম রোহিঙ্গাদের নিশ্চিহ্ন করতে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু