বাবরি মসজিদ রায় ধর্মীয় ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন: জামায়াত
ই- বার্তা ডেস্ক।। জামায়াতের আমির মকবুল আহমাদ বাবরি মসজিদ নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ রায় জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত ধর্মীয় ও মানবাধিকার সনদের লঙ্ঘন।
আজ সোমবার দুপুরে দলের প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মামলার রায়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ রায় ভারতের মুসলমানসহ মুসলিম উম্মাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।’
মকবুল আহমাদ বলেন, ‘ভারতের একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত ধর্মীয় ও মানবাধিকার সনদ এবং ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক শক্তির জোরে ৪৬০ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে।’
জামায়াত আমিরের দাবি, ‘ভারতের সর্বোচ্চ আদালত প্রকারান্তরে ওই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অন্যায় কাজকেই বৈধতা দিল। এতে মুসলিম উম্মাহ মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির নির্মাণের জন্য ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও মসজিদের জন্য পাঁচ একর জমি দানের যে কথা রায়ে বলা হয়েছে, তা মুসলমানদের প্রতি চরম উপহাসের শামিল। ভারতের মুসলিম সমাজকে তাদের ধর্মীয় ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ‘বাবরি মসজিদের স্থানে পূর্বে মন্দির ছিল’ মর্মে যে দাবি করছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। ওই স্থানে খনন কাজ করেও মন্দিরের কোনও চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদরাও ওই স্থানে মন্দিরের কোনো নিদর্শন আবিষ্কার করতে পারেননি। সুপ্রিম কোর্ট নিজেও মেনে নিয়েছে যে, পুরাতাত্ত্বিক পর্যবেক্ষণের রিপোর্টে কোনোভাবেই প্রমাণ হচ্ছে না যে, একটা মন্দিরকে ভেঙে ওখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের দাবি সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক এবং ন্যায়নীতির পরিপন্থী।’
প্রসঙ্গত কয়েক দশকের আইনি লড়াইয়ের পর শনিবার উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ মামলার রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট।
এতে প্রায় পাঁচশ বছর আগে নির্মিত মসজিদটির জমি মন্দির নির্মাণে হিন্দুদের দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর মসজিদটি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দেয় দেশটির হিন্দুত্ববাদীরা।
আর মসজিদ নির্মাণে মুসলমানদের শহরের অন্যত্র পাঁচ একরের একখণ্ড জমি দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে ভারত সরকারকে।