বিএনপির নেতিবাচক প্রচারণার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছেঃ তথ্যমন্ত্রী
ই- বার্তা ডেস্ক।। সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নেতিবাচক প্রচারণার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ইভিএম এর বিরুদ্ধে বিএনপির নেতিবাচক প্রচার না থাকলে আরো ৮-১০ শতাংশ ভোট বেশি হতো।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে নির্বাচন হয়েছে, এটি যে কোনো বিচারে উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত চমৎকার এবং ভালো নির্বাচন হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সভাপতিত্ব করছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।
কলকাতায় সিটি নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের ইতিহাসে, বাংলাদেশের যে কোন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে এ নির্বাচন ছিল অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন যে নির্বাচনে কোনো হাঙ্গামা হয়নি। নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেনি। এটি যে কোনো বিচারে উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত চমৎকার এবং ভাল নির্বাচন।
তিনি বলেন, কেউ কেউ কাগজে লিখছে খুব কম সংখ্যাক লোক ভোট দিতে গেছে। এ সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য লোক তাদের ৬০ শতাংশ ভোটার তালিকায় নাম রেজিস্ট্রেশন করে। আর সেই ৬০ শতাংশের মাত্র ৪০-৪২, বা ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট দেয় বা ভোট কাস্ট হয়। অর্থাৎ ২৪-৩০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়। অর্থাৎ ভোটার হওয়ার যোগ্য জনসংখ্যার মাত্র ২৪-৩০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৯ শতাংশ এবং উত্তরে ২৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। এই ভোটের হার অনেক বেশি হত বিএনপির নেতিবাচক প্রচারণা না থাকত।