‘বিএনপির বিচার হবে জনতার আদালতে’
ই- বার্তা ডেস্ক।। বিএনপির বিচার হবে ইতিহাসের আদালতে এবং তা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, শুধু প্রচলিত আইনেই নয়, বিএনপির বিচার হবে জনতার আদালতে।
আজ বুধবার একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আয়োজনে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, রক্তাক্ত করেছে বঙ্গবন্ধু ভবন, তাদের নিরাপদে বিদেশ যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে কারা? কে তিনি? জিয়াউর রহমান। নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা কে করেছিলেন? সেই খুনিদের বাংলাদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে কারা পুরস্কৃত করেছেন? ইতিহাসের এই অমর সত্যকে অস্বীকার করবেন কীভাবে মির্জা ফখরুল সাহেব? সংশ্লিষ্টতা নেই, হত্যা যে করে আর হত্যাকারীদের সহযোগিতা করেছে তারা উভয়ে সমান অপরাধী। যারা তাদের পুনর্বাসিত করেছে, পুরস্কৃত করেছে, তারা কেউই এ দায় এড়াতে পারবে না। খুনিদের বাঁচানোর জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ কে জারি করেছে? এ খুনিদের বিচার হবে না, এই মর্মে কে পবিত্র সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্তি করেছে? তাহলে কী করে আপনি অস্বীকার করবেন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আপনাদের সংশ্লিষ্টতা নেই?
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আজ বুধবার আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য নেতারা। আওয়ামী লীগের আয়োজনে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে এ অনুষ্ঠান হয়। ছবি : ফোকাস বাংলা
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১ আগস্ট ঘটনার মাস্টারমাইন্ড কে? মুফতি হান্নান বলেছিলেন, হাওয়া ভবনে তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে তারা বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করেছে। সেই হামলার আলামত কারা নষ্ট করেছে? মির্জা ফখরুল সাহেব, এ খুনের মদদদাতা কে? মির্জা ফখরুল সাহেব, জজ মিয়ার চিত্রনাটক কে করেছে? মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনাদের নাকি সংশ্লিষ্টতা নেই। জানতে চাই, কারা এফবিআইকে তদন্ত করতে দেয় নাই। মনে আছে? ভুলে গেছেন সেদিনের কথা?
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে রাজনৈতিক দেয়াল তৈরি হয়েছে, ২১ আগস্টের ঘটনায় তার ধার আরো উঁচু হয়েছে। দেখে যান মির্জা ফখরুল সাহেব, আমার কত বোন পঙ্গু হয়েছে সেই দিন। কত বোন স্বামী হারা হলো, আমার নেত্রী শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন, ২৪ জন শহীদ হয়েছেন। নিঃস্ব হয়েছে কত পরিবার। পথে বসে গেছে অনেক পরিবার। শুধু প্রচলিত আইনেই নয়, আপনাদের বিচার হবে জনতার আদলতে। আপনাদের বিচার হবে ইতিহাসের আদালতে। সন্তানহারা মায়ের কান্না, স্বামীহারা সন্তানের কান্না, স্বামীহারা বোনের কান্না কখনোই আপনাদের ক্ষমা করবে না। ১৫ আগস্টের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তারাই ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছে।’