বিএনপির সমাবেশ দেখে প্রমাণ হয়েছে দলটি জনসমর্থন হারিয়েঃ কাদের
ই-বার্তা ডেস্ক ।। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সমাবেশ দেখে প্রমাণ হয়েছে দলটি ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে। নানা ধরনের নেতিবাচক কর্মকান্ডের কারণে দলটি জনসমর্থন হারিয়ে ফেলেছে।
রোববার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন । ।বৈঠকে সপ্তাহব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যদি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে তাহলে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। আর যদি আন্দোলনের নামে ২০১৪ সালের মতো সংহিসতা, নাশকতা, বোমাবাজি, সন্ত্রাস করে সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করে তাহলে প্রশাসনিকভাবে যা যা করণীয় করা হবে। আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাবো না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ, প্রতিহত করব।
সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের একটি ছবি উচিয়ে ধরে বলেন, বিএনপি সমাবেশে হাতাহাতি, মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। জাতীয় ঐক্যের সূচনাও হয়েছে হাতাহাতির মধ্য দিয়ে। বিএনপি সমাবেশের আগে যে হাক ডাক করলো, কি হয়েছে। আষাড়ের তর্জন গর্জনই সার। আমরা উত্তরবঙ্গে নীলফামারি ও কক্সবাজার যাত্রা করেছি। বড় বড় সমাবেশ, জনসভা হয়েছে। সেই তুলনায় বিএনপির এই সমাবেশ কিছুই না। আমাদের সমাবেশে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। শাসক দল যে কতটুকু সুশৃঙ্খল তার প্রমাণ আমরা দেখিয়েছি।
এ সময় তিনি আরেকটি ছবি দেখিয়ে বলেন, তারা মঞ্চে সেলফি তুলেছে। ‘মঞ্চে তোলে সেলফি, এই হলো বিএনপি’।ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা পরিস্কারভাবে বলতে চাই পবিত্র সংবিধান পরিবর্তন, সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীন ভূমিকা পালন করতে তার সহযোগীতা করবে।
এদিকে সম্পাদকমণ্ডলীর এ সভা থেকে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সারা দেশে গণসংযোগের কর্মসূচি নেওয়া হয়। ১ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এবং জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড পর্যায়ে গণসংযোগে অংশ নেবেন দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা লিফলেট বিতরণ করবেন। এ উপলক্ষে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৪টি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
জনদূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে এবার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার সময় কোনো কর্মসূচি নেয়া হয়নি বলে সাংবাদিকদের জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তবে দেশে ফেরার সময় আমরা দলীয় নেতাকর্মীরা গণভবনে অবস্থান করব।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করুন।
ই-বার্তা / ডেস্ক