বিএনপির স্থায়ী কমিটির শূন্য পদে আসতে পারেন যারা

ই-বার্তা ডেস্ক।।   একাদশ জাতীয় নির্বাচনে চরম সাংগঠনিক ব্যর্থতা প্রদর্শনের পর দল গুছানোর দিকে মন দিচ্ছে বিএনপি।কেন্দ্র থেকে তৃণমূল বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা  নির্বাচনে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের আগ্রাসী ভূমিকার বিপরীতে প্রতিরোধ গড়ে তোলতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি।এই উপলব্ধি থেকেই দলকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিচ্ছে তারা।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার কারাবন্দী জীবনের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই ১১ মাস ধরে তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলের স্থায়ী কমিটিই বিএনপিকে পরিচালনা করেছে এবং এর সমন্বয় করেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপিতে স্থায়ী কমিটি নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত, কর্মসূচি প্রণয়ন থেকে শুরু করে সার্বিক সিদ্ধান্তগ্রহণের কাজগুলো করে। স্থায়ী কমিটির সুপারিশের আলোকেই বেশিরভাগ সময় বিএনপি শীর্ষ নেতারা সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন।অন্তত খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এমনটি হয়েছে।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়া জাতীয় কাউন্সিল করার কথা ভাবছে না বিএনপি। আগের কমিটি ঠিক রেখে কমিটির শুন্য পদগুলো পূরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাই দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির পাঁচটি শূন্য পদ পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব।

সব মিলিয়ে স্থায়ী কমিটিতে সাতটি পদ ফাঁকা হচ্ছে। এসবের অন্তত পাঁচটিতে নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। বাকি দুটি পদ ফাঁকাই রাখা হতে পারে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থায়ী কমিটির শূন্যপদে আসতে পারেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, সেলিমা রহমানের মতো প্রবীণ নেতারা।একটি পদে জিয়া পরিবারের সদস্য ও তারেক রহমানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমানের অন্তর্ভুক্তির দাবি রয়েছে বিভিন্ন পর্যায় থেকে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হওয়া ক্লিন ইমেজের ডা. জোবায়দা দলকে গোছাতে পারবেন বলে ধারণা অনেকের।

ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টামণ্ডলী থেকে অন্তত দুজনকে স্থায়ী কমিটিতে আনা হবে। চট্টগ্রামের প্রবীণ বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খান ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান জিয়া পরিবারের বিশ্বস্ত। তাদের কোনো একজনকে দেখা যেতে পারে স্থায়ী কমিটিতে।

 

ই-বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম