বিক্রেতাদের প্রতিযোগিতায় পেঁয়াজের কেজি ছাড়াল ১২০ টাকা
ই-বার্তা ডেস্ক।। পেঁয়াজের বাজারে চলছে রীতিমতো নৈরাজ্য। বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানো অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ সারাদেশে কেজিতে ১২০ টাকা রাখা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকার কারণে পেঁয়াজের দাম না কমে বাড়ছে। অথচ পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত। কিছু খুচরা বিক্রেতা বেশি দামের কারণে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রাখার কথা জানালেও অনেক খুচরা বিক্রেতাই বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে চাহিদা অনুযায়ী পেঁয়াজ পাচ্ছেন তাঁরা।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ জানায়, গেল ২৬ দিনে মিয়ানমার থেকে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানির এ হার আগের চেয়ে বাড়ছে।
পেঁয়াজের আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. মাজেদ বলেন, ‘আমরা যত কথাই বলি, ভারতের পেঁয়াজ আমদানি শুরু না হলে দাম কমবে না। কারণ আমরা অন্যান্য দেশ থেকে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ পাচ্ছি না। আবার আমদানিও করতে হচ্ছে চড়া দামে।’
তবে এই বিক্রেতা স্বীকার করলেন, বাজারে কিছু সমস্যা হচ্ছে। যেমন—মিসরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা ৮০-৮২ টাকার মধ্যে বিক্রি করছেন। সেটা খুচরা বাজারে ৯০ টাকা থাকার কথা। তবে এ পেঁয়াজও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আড়তে। সেটা খুচরায় ১০০-১০৫ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এটিও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতার শুরু হয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসের ২৯ তারিখে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। সে সময় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি ১৩০ টাকায় উঠেছিল। কিন্তু এটি আবার কমে ৭০-৯০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু তা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। দ্রুতই আবার ১০০ টাকা, পরের ধাপে ১১০ টাকা এবং সব শেষে গতকাল ১২০ টাকায় উঠে আসে।
ভোক্তাদের দাবি, বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। কারণ বাজারে গেলে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা যায় না। দাম যখন বেড়ে যায় তখনই সব দোকানদার একসঙ্গে বাড়ায়। এটা সম্ভব তখনই, যখন বিক্রেতারা একজোট থাকে।
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু