বিগত এক বছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে: অর্থমন্ত্রী
ই- বার্তা ডেস্ক।। বিগত এক বছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রেরণের হার প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৯ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। বুধবার জাতীয় সংসদে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী এ সময় জানান, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।
তিনি জানান, রেমিট্যান্স গ্রাহকের কাছে সরাসরি পৌঁছানোর লক্ষ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের সঙ্গে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজের ড্রয়িং ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানির সঙ্গে বর্তমানে প্রায় ১ হাজার ২৪৫টি ড্রয়িং ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে। যা রেমিট্যান্স আহরণের উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আরও নতুন নতুন ব্যবস্থা স্থাপনের অনুমোদন প্রদান অব্যাহত আছে।
মন্ত্রী আরও জানান, বিদেশস্থ এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে বাংলাদেশস্থ ব্যাংকের ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনকে সহজতর করার লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতিতে ড্রয়িং স্থাপনের ক্ষেত্রে রক্ষিতব্য ব্যাংকের ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। যা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
মো. হাবিবুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী ক্ষুদ্র ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার ২৪ শতাংশ। ইতিপূর্বে বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক অধিক সুদে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের থাকলেও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি আইন-২০০৬-এর আওতায় সরকার কর্তৃক এমআরএ প্রতিষ্ঠানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ব্যয়, প্রশাসনিক ব্যয়, ঋণ ক্ষতি সঞ্চিতি ও প্রফিট মার্জিন ইত্যাদি পর্যালোচনা এবং সরকারের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করে ক্রমহ্রাসমান স্থিতি পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র ঋণের সুদহার নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে।
বেগম আদিবা আনজুম মিতার প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল জানান, সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সর্বোচ্চ।