বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ বটগাছ স্যালাইন দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা
ই-বার্তা ।। প্রাচীন একটি বটগাছ। বয়স ৭০০ বছরেরও বেশি। কিন্তু পোকার কারণে এ গাছটি মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে। এই গাছটি দক্ষিণ ভারতের তেলেঙ্গানায়। গাছটিতে উইপোকার মারাত্মক আক্রমণ ঘটেছে।
কীটনাশকের স্যালাইন দেয়ার মাধ্যমে কর্মকর্তারা এখন বিরল এই বৃক্ষটিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করছেন। প্রায় তিন একর জায়গাজুড়ে গাছটি বিস্তৃত। বলা হচ্ছে, এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম বটগাছ। সে কারণে দেশ বিদেশ থেকে বহু পর্যটক গাছটি দেখতে যান।
কর্মকর্তারা এখন এই গাছটিকে পোকার সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। নতুন করে যাতে পোকার সংক্রমণ না ঘটে সে জন্য এর শেকড়েও পাইপ দিয়ে কীটনশাক দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা প্রান্ডুরাঙ্গা রাও বলেন, আমরা বেশকিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। গাছটি যাতে পড়ে না যায় সে জন্য সিমেন্টের প্লেট দিয়ে এর শাখাগুলো আটকে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে গাছটিতে সারও দেয়া হচ্ছে।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, গাছটির যেসব জায়গায় উইপোকার সংক্রমণ ঘটেছে সেসব জায়গায় আমরা ফোটায় ফোটায় কীটনাশক দিচ্ছি। স্যালাইনের মতো করে। আমাদের ধারণা এতে কাজ হবে।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কর্তৃপক্ষের চোখে পড়ে যে গাছটির ডালপালা ভেঙে পড়ছে। তারপর থেকে সেখানে পর্যটকদের যাওয়া-আসাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, উইপোকার আক্রমণে গাছটি প্রায় ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। তারা বলেছেন, অনেক পর্যটক ডালপালা ধরে দোল খাওয়ার কারণেও গাছটি অনেক নুয়ে পড়েছে।
ভারতীয় বটগাছ খুব বড় হয় এবং তাদের শেকড়ও হয় খুব শক্ত। এসব গাছ এতো বড় হয় যে ডালপালা থেকেও এর শেকড় ঝুলতে থাকে।
গাছটি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য এসব শেকড়ের ভূমিকা রয়েছে।