বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে স্বামীর দু’কান কেটে নিলো স্ত্রী!

ই-বার্তা।। নারকেল ডাঙার নর্থ রোডের বাসিন্দা বছর ২০-র যুবক তানভির। বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে স্বামীর দু’ কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বয়সে বড় স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় ভারতের মধ্য কলকাতার নারকেলডাঙায়। অভিযুক্ত স্ত্রী মুমতাজ বিবি পলাতক। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন মোহম্মদ তানভির নামে ওই যুবক। 

 

দুই বছর আগে তাঁর থেকে বয়সে ২০ বছরের বড় মুমতাজ বিবিকে বিয়ে করেন। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তানভিরের উপর অত্যাচার শুরু করে মুমতাজ। অত্যাচারের জেরে বেশ কয়েকবার বাড়ি থেকে পালিয়েও যায় তানভির। কিন্তু প্রতিবারই তাঁকে ফের আবার বাড়িতে ধরে আনে মুমতাজ ও তাঁর সঙ্গী-সাথীরা।

 

তানভিরের মা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বহুবার মুমতাজকে হাতে-পায়ে অনুরোধ করেন তিনি। এমনকি তানভিরকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে তার ‘বিনিময়ে’ একটি বাড়ি বিক্রি করে দেয় মুমতাজ। সেই বাড়ি বিক্রির পুরো টাকাও নিয়ে নেয় সে। কিন্তু তারপরেও মুমতাজ তানভিরকে ছাড়েনি। এরপর থেকে মুমতাজের সঙ্গে তার বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয় তানভির।

 

অভিযোগ, তানভিরকে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যেতে দিত না মুমতাজ। তানভির জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তিনি মল্লিকপুর পালিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসে মুমতাজ। অভিযোগ, তারপরই তানভিরকে বেধড়ক মারধর করে মুমতাজ ও তার বোনেরা। শেষে ভোররাতের দিকে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে স্বামী তনভিরের দু’ কান কেটে নেয় ৪০ বছরের মুমতাজ বিবি। কোনওরকমে সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হন তানভির। এরপর স্থানীয়রাই রক্তাক্ত অবস্থায় তানভিরকে উদ্ধার করে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়।

 

তনভির জানিয়েছে, তাঁকে ফাঁসিয়ে দিয়েছিল তাঁর দাদার এক বন্ধু। সে কারণেই বয়সে ২০ বছরের বড় মুমতাজ বিবিকে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় নারকেলডাঙা থানার পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে আক্রান্তের পরিবার। অভিযোগ, এই ঘটনায় প্রথমে কোনও এফআইআর-ই নিতে চায়নি পুলিশ। পরে অভিযোগ নিলেও, এখনও ফেরার অভিযুক্তরা।

 

 

ই-বার্তা/ডেস্ক রিপোর্ট