বেড়াতে যাওয়ার সময় ব্যাগে যেসব জিনিস নিতে ভুলবেন না!
ই-বার্তা।। বেশ কিছু দিনের জন্য দূরে কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন। কিছু দিনের জন্য কোথাও ঘুরতে গেলে প্রয়োজনীয় সবকিছু অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে। ব্যাগ গোছানোর সময় কম-বেশি টেনশনে থাকে সকলেই।
অনেক সময় মনের ভুলে ব্যস্ততার কারণে প্রয়োজনীয় অনেক কিছু আমরা নিতে ভুলে যাই। আসুন জেনে নেই বেড়াতে যাওয়ার সময় ব্যাগে যেসব জিনিস নিতে ভুলবেন না।
হ্যান্ড ওয়াশ, দাঁতের মাজন, ব্রাশ
গোছানোর সময় আগে ব্যাগে পুরে ফেলুন হ্যান্ড ওয়াশ, দাঁতের মাজন, ব্রাশ, স্যানিটারি সোপ, শ্যাম্পু-কন্ডিশনারের বোতল, পারফিউম ইত্যাদি। মোট কথা, নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখতে যা যা প্রয়োজন, সে সব যেন ভুল করে বাদ না পড়ে যায়। পুরুষরা মনে করে ব্যাগে নিন দাড়ি কামানোর সরঞ্জাম, মেয়েরা সঙ্গে রাখুন দরকারি স্যানিটারি প্যাড।
পাওয়ার ব্যাঙ্ক, চার্জার
পাওয়ার ব্যাঙ্ক, চার্জার অবশ্যই ব্যাগে রাখুন মনে করে। কথা বলা ছাড়াও অনেক কাজেই ফোন কাজে লাগে। তাই ফোনের ব্যাটারি শেষ হলে যে কী সমস্যার মুখেমুখি হতে হয়, তা কম-বেশি সকলেই জানি। তাই সে দিকটা খেয়াল রাখুন। তবে সব যোগাযোগ বন্ধ করে কিছু দিন নিজের মতো করে বেড়িয়ে আসতে চাইলে, ফোন নিয়ে চিন্তা নেই!
শুকনো খাবার
বেড়াতে গিয়ে খাবারদাবারের চিন্তা ছাড়বেন হোটেল বা রেস্তরাঁর উপর, এমনটাই ভেবেছেন তো? বেশ, তাতে কোনও ভুল নেই। কিন্তু তার পরেও সঙ্গে রাখুন কিছু শুকনো খাবার। যাত্রাপথে খিদে পাওয়া ছাড়াও হোটেলে থাকাকালীন টুকটাক খিদে সামাল দিতেও এ সব কাজে আসবে।
ওষুধ
যে জিনিস না নিয়ে কখনও কোথাও বেড়াতে যাবেন না, তা হল ওষুধ। অনেকেই বেড়াতে গিয়ে দরকার মতো সেখানকার দোকান থেকে কিনে নেন প্রয়োজনীয় ওষুধ। কিন্তু যাত্রাপথের দরকার তাতে মেটে না। তাই বাড়ি থেকে বেরনোর আগেই সাধারণ অসুখ-বিসুখের ওষুধ রাখুন ব্যাগে। হোটেলের ঘর যত সাফ সুতরোই হোক, অনেকেই ঘুমনোর সময় নিজের পরিচিত চাদরে শুতেই স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তেমন অভ্যাস যদি আপনারও থাকে, তবে সঙ্গে রাখুন অন্তত একটা বিছানার চাদর ও বালিশের ঢাকা। শুধু ঘুমোতেই নয়, হোটেলের কম্বল ব্যবহারেও অনেকের অনীহা থাকে। চাদর কাজে আসে সে ক্ষেত্রেও।
নতুন জায়গার বেড়াতে গেলে একটা ছোট ব্যাগে ভরে নিন কাগজ বা প্যাকেট কাটার হালকা ছুরি, কাঁচি-সহ টুকটাক দরকারের কিছু যন্ত্রপাতি। অনেক সময় হোটেলের বাইরেও হঠাৎই প্রয়োজন পড়তে পারে এদের। কাজেই এমন জিনিস সঙ্গে থাকলে সমস্যায় পড়তে হবে না।
ই-বার্তা/ডেস্ক রিপোর্ট