ব্যার্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছে টাইগাররা
ই- বার্তা ডেস্ক।। টানা দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে। উইকেট আর্দ্রতায় ভরপুর, সবুজ ঘাসে ঢাকা। সবুজাভ আউটফিল্ড স্লো। উপরন্ত নিউজিল্যান্ডের পেস তোপ। সব মিলিয়ে ব্যাট করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। সব চ্যালেঞ্জ সামলে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই পথ হারায় টাইগাররা। একে একে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন তারা।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।সব শঙ্কার মেঘ উড়িয়ে দিয়ে উড়ন্ত সুচনা করেন তামিম-সাদমান। চোখধাঁধানো ড্রাইভ, কাট-পুলের পসরা সাজান তামিম। তাকে যথার্থ সঙ্গ দেন সাদমান। তবে হঠাৎই খেই হারান সাদমান। ব্যক্তিগত ২৭ রানে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের শিকার হন তিনি।
সাদমানের বিদায়ে ভাঙে ৭৫ রানের ওপেনিং জুটি। পরে মুমিনুল হককে নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করেন তামিম। দারুণ সঙ্গও পাচ্ছিলেন। সবে জুটি গড়ে উঠেছে ওই অবস্থায় নিল ওয়েগনারের শর্ট বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে বিজে ওয়াটলিংকে ক্যাচ দিয়ে অসেন তিনি। টেস্ট স্পেশালিস্টের উইলো থেকে এসেছে মাত্র ১৫ রান। এতে ভাঙে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ। মুলত এরপরই পথ হারায় বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা।
একে একে মিঠুন এবং লড়তে থাকা তামিম ও হার মানেন। ওয়েগনারের বলে টিম সাউদিকে ক্যাচ তুলে দেন ড্যাশিং ওপেনার। ফেরার আগে ১০ চারে ১০৯ বলে করেন বীরোচিত ৭২ রান।
মাঝপথে আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যার্থ সৌম্য সরকার। সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে লড়তে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেই ওয়েগনারের শর্ট বলের ফাদে পা দেন রিয়াদও।
শেষদিকে লিটন কিছুটা প্রতিরোধের ইঙ্গিত দিলেও বাকিরা আর কেও দ্বাড়াতে পারে নি হেনরি ওয়েগনারদের তোপের মুখে । তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পরে লোয়ার অর্ডার। শেষপর্যন্ত লাল সবুজদের ইনিংস থামে ২১১ রানে। তাসমান পাড়ে যেন আরো একবার ব্যার্থতার ষোল কলা পূর্ণ করলেন টাইগাররা ।
ই- বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ