‘ভবিষ্যতেও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী অটুট থাকবে’
ই- বার্তা ডেস্ক।। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার মন্তব্য করেছেন যে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা বিশেষ ভালো ছিল না। তবু শুধু আন্তরিকতার কারণে সর্বোচ্চ দিয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে ভারত। সেই সম্প্রীতি এখনও বজায় রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী অটুট থাকবে।
আজ (৭ মে) নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় ভারত সরকারের অর্থায়নে নিয়ামতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ এবং শাংশৈল আদিবাসী স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী ছাত্রীনিবাস ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ঝরে পড়া আদিবাসী শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভারত সরকারের আর্থিক সহায়তায় এ পথ আরও প্রশস্থ হয়েছে।
নওগাঁয় একটি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠায় ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘দুই দেশের বাণিজ্যের উন্নয়নের জন্য নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সীমান্তে স্থল বন্দর করার যে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই অঞ্চলে একটি স্থলবন্দর বাস্তবায়ন করতে ভারত সরকার এগিয়ে আসবে বলে আমি আশাবাদী।’
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী দাস বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত একই সূত্রে গাঁথা। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্য যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তা কোনো দিন নষ্ট হবার নয়।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশেরে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণকাজে সহযোগিতার পাশাপাশি ভারত সরকার নিয়মিত শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে আসছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিসর প্রশ্বস্থ হচ্ছে। আমি চাই, বাংলাদেশের এই অঞ্চলের ছেলে-মেয়েরাও সেই সুযোগ গ্রহণ করুক।’
ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম