ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে
ই-বার্তা ডেস্ক।। ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকা কমানোসহ আট দফা দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো ভর্তি কার্যক্রম চলছিল।
শিক্ষার্থীরা ভর্তি কার্যক্রম চলা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস’ অডিটোরিয়ামের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
জানতে চাইলে ছাত্রদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি কার্যক্রম সাময়িকভাবে রয়েছে বলে স্বীকার করেন রেজিস্ট্রার মো. মমিনুল হক। মুঠোফোনে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা আলোচনায় বসেছেন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা হবে।
প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার মমিনুল হক বলেন, গত তিন-চার বছর ভর্তি ফি বাড়ানো হয়নি। আগে যা ছিল এবারও তা নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ২৫ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে আসতে বলা হয়, কিন্তু তা পুরোপুরি নেওয়া হয় না। বিভিন্ন চার্জ হিসাব করে যার যা আসে, তা–ই নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাংলাদেশের অন্য সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ফি বেশি নেওয়া হয়। এ নিয়ে আগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা নানা আপত্তি জানালেও তা শোনা হয়নি, বরং ফির পরিমাণ আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় তাঁরা বাধ্য হয়ে ভর্তি ফি পাঁচ হাজার টাকা কমানো এবং গত ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবিসহ আট দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো : বিভাগীয় ট্রান্সস্ক্রিপ্ট ২০ টাকা এবং মূল সনদপত্র ৫০ টাকা করতে হবে; ব্যাকলগের বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করতে হবে এবং তা ৩০০ টাকা করতে হবে এবং ইমপ্রুভমেন্টের ন্যূনতম জিপিএ ৩.০০ করতে হবে। ওয়ানস্টপ অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করতে হবে। শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে এবং হলের খাদ্যে ভর্তুকি দিতে হবে। পুরো ক্যাম্পাসে নিরবচ্ছিন্ন ওয়াই–ফাই ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
প্রক্টর বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া নিয়ে তাঁরা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন।