ভুলে ভরা চিঠির বিষয়ে জানতে চেয়েছে বৃটেন
ই-বার্তা ।। তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগের অসংখ্য ভুলে ভরা একটি চিঠি জনসমক্ষে প্রকাশের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় ব্রিটিশ সরকারের গভীর উদ্বেগ রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্র থেকে জানা যায়- বিতর্ক তৈরি হওয়া বিষয়টি ব্রিটেনের তরফে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ নিয়ে ঢাকার নিকট বৃটিশ ফরেন অফিস বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছেন। তবে কোন প্রক্রিয়ায় তারা ঢাকার কাছে জানতে চেয়েছে এবং সুনির্দিষ্টভাবে কি জানার চেষ্টা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এক কূটনীতিক জানান, বৃটেন তথা পশ্চিমা দেশগুলো ব্যক্তির তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়ে বেশ সচেতন। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বিষয়ক বৃটিশ আইন এখনো ব্যক্তি তারেক রহমানের যুক্তরাজ্যে ‘লিগ্যাল স্ট্যাটাস’ (আইনি অবস্থান) প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা। কিন্তু পাল্টাপাল্টি চ্যালেঞ্জের মুখে এক পক্ষ তারেক রহমানের পাসপোর্টের অনুলিপি, তথ্য ও চিঠি সাংবাদিকদের হাতে তুলে দিয়েছে। আরেক পক্ষ চিঠি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ অবস্থায় চিঠির ব্যাখ্যা শুধু বৃটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তরই দিতে পারে। তবে বৃটিশ সরকার বা হাই কমিশনার হয়তো তা করবে না।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগের অসংখ্য ভুলে ভরা এক লাইনের একটি চিঠি নিয়ে রহস্য তৈরী হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের কষ্টার্জিত বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে লন্ডন সফরকারী বিশাল বহরের একমাত্র অর্জন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সংগ্রহ করা তারেক রহমানের ২০০৮ সালে ইস্যু করা পাসপোর্টের তিনটি পাতা। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র বিভাগের অসংখ্য ভুলে ভরা এক লাইনের রহস্যজনক একটি চিঠির ফটোকপি নিয়ে যথেষ্ট রহস্য রয়েছে। ব্রিটিশরা এই ধরনের ভুল করতে পারে না।