মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে যা বললেন মিমি
ই-বার্তা।। মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে চমক দেখালেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। একেবারে ঘরের মেয়ে সেজে এসে মনোনয়ন জমা দিলেন এই টালিউড অভিনেত্রী।
জীবনে প্রথম রাজনীতির প্ল্যাটফর্মে এসে ভোট যুদ্ধে নেমে পড়েছেন মিমি। এ দিন তাকে দেখা গেল সম্পূর্ণ অন্য পোশাকে। অন্য আঙ্গিকে। তাকে বরবারই সালোয়ার ও টপ পরে প্রচার করতে দেখা গেছে। কিন্তু এদিন মিমি শাড়ি পরে আসেন মনোনয়ন পেশ করতে।
কোনও তারকা নন, বাঙালি ঘরের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই শাড়ি পরে স্বাভাবিক ছন্দে তিনি হাঁটেন। মনোনয়ন জমা করতে এদিন তিনি সঙ্গে নিয়ে আসেন বাবা ও মা–কেও।
শুক্রবার সকালে কসবার বাড়িতে পুজো দিয়ে বাবা সমীর চক্রবর্তী ও মা–কে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য রওনা দেন মিমি। তার সমর্থনে বর্ণাঢ্য মিছিল বের করে নেতাকর্মীরা। সেই মিছিল গিয়ে শেষ হয় আলিপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে।
মিমি আলিপুরে ঢুকতেই উপস্থিত জনতার মধ্যে আলোড়ন পড়ে যায়। তাকে একপলক দেখার জন্য হুড়োহুড়ি বেধে যায়। সেই ভিড় সামাল দিতে পুলিশকে কার্যত হিমশিম খেতে হয়। ঘড়ির কাঁটাতে ঠিক দুপুর ১টা ১০ নাগাদ মিমি মনোনয়ন জমা করতে জেলার নির্বাচনী আধিকারিক জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওয়ের ঘরে ঢোকেন। প্রায় ৪৫ মিনিট পর মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জেলাশাসকের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মিমি।
এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রচারে বেরিয়ে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি তাতে আমি অভিভূত। জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত। বাংলায় যা উন্নয়ন হয়েছে, তাতে মানুষ আমাকেই ভোট দেবেন। জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।’
এদিন মিমির সঙ্গে ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান ব্যানার্জী, জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী–সহ সোনারপুর উত্তর ও দক্ষিণের বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম, জীবন মুখার্জি, বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক নির্মল মণ্ডল প্রমুখ।