মসজিদে হামলার ঘটনার বিবৃতিতে যে দেশ যা বলছে
ই-বার্তা ডেস্ক ।। শুক্রবার জুমার নামাজের প্রস্তুতির সময় নিউজিল্যান্ডে দুই মসজিদে হামলার ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই। এমন হামলায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ বিবৃতি দিয়ে নিন্দা জানিয়েছে।
সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেন, সন্ত্রাসীদের কোনো রাষ্ট্র নেই, কোনো ধর্ম নেই। সব ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নিন্দা জানাচ্ছি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের মুখপাত্র এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, এটি বর্ণবাদী ও ফ্যাসিস্ট আচরণ।
এ ঘটনায় ইব্রাহিম কালিন টুইট করে বলেন, এই হামলার ঘটনাটি ইসলামের প্রতি এবং মুসলমানদের প্রতি শত্রুতা।
আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারদাস এক টুইটে এ হামলাকে ‘হৃদয়গ্রাহী নিন্দা’ বলে আখ্যায়িত করেছে ও নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানান।
জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুমানা গিনিমাত সন্ত্রাসবাদ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, শান্তি জায়গায় হামলা করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি এক বিবৃতিতে বলেন, বন্দুক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। মসজিদের ভেতরে ইন্দোনেশিয়ার ৬ জন ছিল। এর মধ্যে তিনজন অব্যাহতি পেলেও বাকি তিনজন অব্যাহতি পাননি।
মালয়েশিয়ার জোট নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম এ ঘটনাকে দুঃখজনক উল্লেখ করে বলেন, এ হামলার ঘটনার বর্ণনায় মালয়েশিয়া আহত হয়েছে। শান্তি এবং মানবতা কালো দিনের সম্মুখীন হয়েছে।
অস্ট্রেলীয়, নিউজিল্যান্ড এবং ফিজির আফগানিস্তানের অ্যাম্বাসেডর ওয়াহিদুল্লাহ ওয়েসি টুইটারে আফগানিস্তানের তিন নাগরিক আহত উল্লেখ করেন এবং ঘটনার নিন্দা জানান।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশ ট্যাগ দিয়ে নিন্দা জানান।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আরদেনকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি আশা করি হামলায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিষদের সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক বলেন, এটি নৃশংস হামলা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এ হামলার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।কুইন এলিজাবেথ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস নৃশংস ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্প্যানিশ প্রিমিয়ার পেড্রো সানচেজ বলেন, আমাদের সমাজকে ধ্বংস করতে চায় এমন উগ্রপন্থী ও চরমপন্থীরা।
এদিকে এ ঘটনাকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এটিকে নিউজিল্যান্ডের কালো দিন বলে উল্লেখ করে।
ই-বার্তা / শাহাদাত ছৈয়াল