মানসিক সমস্যা ও দূর করার উপায়
ই-বার্তা ডেস্ক ।। শারীরিক স্বাস্থ্য যতটা জরুরি মানসিক স্বাস্থ্যও ততটা জরুরি। মানসিক সমস্যা শারীরিক অনেক ব্যাপারে প্রভাব ফেলে।
শারীরিক রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত বোঝা গেলেও মানসিক সমস্যা হয়তো ধীরে ধীরে বোঝা যায়। তবে কারও মাঝে নিম্নোক্ত কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেলে ধরে নেওয়া হবে, সে মানসিক সমস্যায় ভুগছে।
মানসিক সমস্যা ও লক্ষণ : মানসিক সমস্যায় ভুগছে কি না তা বোঝার জন্য অনেক লক্ষণ আছে। তার মধ্যে নিন্মাক্ত বিষয়গুলো লক্ষণীয়-
আনমনা থাকা : যদি আপনার পরিবার বা বন্ধুদের কেউ হঠাৎ আনমনা থাকতে শুরু করে কিংবা ভাবনার সাগরে ডুবে অতিরিক্ত খাওয়া শুরু করে তবে তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলে জানুন তার সমস্যা কোথায়?
উৎসাহ নষ্ট হওয়া : পরিবারের কোনো সদস্যের কোনো কাজে উৎসাহ হারাতে দেখলে বুঝে নেবেন তিনি ডিপ্রেশন বা মানসিক সমস্যায় আছেন।
কল্পনার সাগরে ভাসা : যদি দেখেন কেউ খুশিতে থাকছে আবার কিছুক্ষণ পর দুঃখে মুখ গোমরাহ করছে তবে বুঝে নেবেন তার ভেতর সমস্যা আছে।
দ্রুত মন খারাপ করা : যদি কেউ যখন তখন মন খারাপ করে অথবা ছোট ছোট কথার প্রতি উদাস হয় তবে বুঝবেন সে অন্তর জ্বালায় শান্ত নয়।
বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কম মেশা : নিজের বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে পূর্বাপেক্ষা হঠাৎ মেলামেশা কমিয়ে দিলে। একান্ত বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গেও তাদের দূরত্ব বাড়া শুরু হয়।
জীবনের লক্ষ্য ভুলে থাকা : যদি কোনো ব্যক্তি জীবনের লক্ষ্য ভুলে থাকে তবে বুঝতে হবে সে মানসিক সমস্যায় ভুগছে। যদি কোনো ব্যক্তি পূর্বাপেক্ষা বেশি সময় ধরে শুয়ে থাকে, ঘুমানোর পূর্বে চিন্তায় থাকে তবে বুঝতে হবে সে মানসিকভাবে সুস্থ নয়।
মানসিক সমস্যা দূর করার উপায় : মানসিক সমস্যা দূর করার জন্য অনেকগুলো কৌশল আছে। তার মধ্যে নিম্নোক্ত কাজগুলো করলে ভালো ফল পাওয়া যায়-
মানসিক সমস্যা দূর করতে সুন্দর জীবনশৈলী মেনে চলতে হবে। পুষ্টিকর খাবার ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। মদ, ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। চিন্তায় পড়লে তা প্রতিকার করার কৌশল জানতে হবে। মনে রাখবেন, চিন্তা নামক বায়বীয় বস্তুটি কখনো কাজের সমাধান করে দেবে না।
ধরুন, হঠাৎ পরীক্ষার তারিখ পড়েছে। তাই আপনি চিন্তায় পড়ে গেছেন। ফলে চিন্তায় চিন্তায় পড়ায় মন দিতে পারছেন না। সুতরাং চিন্তা-ভাবনা বাদ দিয়ে পড়তে বসবেন। সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে আপনার পরিবার অথবা বন্ধুদের সহায়তা নেওয়া। যদি চিন্তা অধিক বেড়ে যায় তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের মানসিক সমস্যার লক্ষণগুলো আমলে নিয়ে যথাযথভাবে সহায়তা করা।
অধ্যাপক ডা. এম এ সালাম, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বিএসএমএমইউ
ই-বার্তা / তামান্না আলী প্রিয়া