মানিকগঞ্জে ধর্ষককে গণধোলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি
ই- বার্তা ডেস্ক।। মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে গণপিটুনি দিয়েছেন গ্রামবাসী। পরে আহত অবস্থায় আব্দুর রহিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতার করা ব্যাক্তির নাম আব্দুর রহিম। তিনিদৌলতপুর উপজেলার শিকদার পাড়া গ্রামের রহম আলী মোল্লার ছেলে। রহিম দুই সন্তানের জনক।
এই বিষয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বড় বোন বলেন, জন্মের পর থেকে ১৪ বছর বয়সী আমার ছোট বোন মানসিক প্রতিবন্ধী। মঙ্গলবার দুপুরে আমার বোন প্রতিবেশী ফজর সেকের বাড়িতে যায়। ওই বাড়িতে ফজর সেকের শ্যালক আব্দুর রহিম আমার বোনকে কৌশলে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য আমার বোনের হাতে ২০ টাকা গুঁজে দেয় আব্দুর রহিম। ২০ টাকা হাতে নিয়ে কান্না করতে করতে বাড়িতে আসে আমার বোন। কান্নার কারণ ও হাতে ২০ টাকা কোথায় পেলে জিজ্ঞাসা করলে বিস্তারিত খুলে বলে আমার ছোট বোন।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের কথা প্রতিবেশী ও গ্রাম্য মাতুব্বরদের জানান কিশোরীর বাবা। ঘটনা জানার পর গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে আব্দুর রহিমকে ধরে নিয়ে আসেন। পরে সবার সামনে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আব্দুর রহিম। এ সময় উত্তেজিত গ্রামবাসী রহিমকে গণপিটুনি দেন। আহত অবস্থায় রহিমকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্বজনরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে ধর্ষণের ঘটনাটি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এরপর নির্যাতনের শিকার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুর রহিমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পুলিশি পাহারায় আব্দুর রহিমকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সেই সঙ্গে ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম