মান বাঁচানোর লড়াইয়ে আসছে এক পরিবর্তন!
ই-বার্তা।। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ শেষ হয়েছে বাংলাদেশের কাছে। এখন মান বাঁচানোর লড়াই। ধবলধোলাই এড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে সাকিব বাহিনী। এ লক্ষ্যে দলে আসছে একটি পরিবর্তন! সৌম্য সরকারের পরিবর্তে ঢুকতে পারেন আরিফুল হক।
এ ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া বাংলাদেশ। জয় ভিন্ন কিছু ভাবছেন না দলপতি সাকিব আল হাসান। ম্যাচ জিতে সান্ত্বনা নিয়ে ফিরতে চান তিনি। সেই লক্ষ্যেই এ পরিবর্তন!
প্রথম ম্যাচে সাইডবেঞ্চে বসেই দলের হার দেখতে হয় সৌম্যকে। এতে দ্বিতীয় ম্যাচে তার খেলার দরজা খুলে যায়। তবে ফিরলেও পারফরম্যান্সে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। সাতে নেমে মাত্র ৩ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। ফলে জায়গা হারাচ্ছেন তিনি।
সৌম্যর পরিবর্তে দলে ঢুকছেন আরিফুল। ব্যাটিং পজিশন ছয়-সাতে খেলার সব যোগ্যতা রয়েছে তার। ব্যাট হাতে যেমন দিতে পারেন ফিনিশিং টাচ, তেমন বল হাতেও শিকার বানাতে পারেন ব্যাটসম্যানদের।
এছাড়া গেল ম্যাচের একাদশের সবাই থাকছেন। পেস আক্রমণে যথারীতি নেতৃত্ব দেবেন রুবেল হোসেন। অবশ্য তার পারফরম্যান্সটা আশাব্যঞ্জক হচ্ছে না। ওই ম্যাচের ১৮তম ওভারে ২০ রান দিয়ে ম্যাচ হারিয়ে দেন তিনি। যাহোক, তার সঙ্গে থাকছেন আবু হায়দার রনি।
স্পিন আক্রমণে সাকিবের সঙ্গী নাজমুল ইসলাম অপু। তাদের সমর্থন যোগাবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
গেল দুই ম্যাচে তিন বিভাগেই (ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং) দুর্বলতা দেখা গেছে বাংলাদেশের। আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল শারীরিক ভাষাতেও। জয় পেতে হলে এসবই কাটিয়ে উঠতে হবে তামিম-মুশফিকদের।
তবে এ ম্যাচে উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখতে পারে আফগানিস্তান। অর্থাৎ জয়ের ছন্দ ধরে রাখতে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নামতে পারেন আফগানরা।
আফগানিস্তানের দুই জয়ের নেপথ্য নায়ক স্পিন মাস্টার রশিদ খান। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশকে একাই গুঁড়িয়ে দেন তিনি। আজও নজর থাকছে তার ওপর।
এ মুহূর্তে ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে আফগানরা। এ ম্যাচে জিতলেই প্রথমবারের মতো টেস্ট খেলুড়ে কোনো স্বীকৃত দলকে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা দেবেন তারা!
সম্ভাব্য একাদশ
বাংলাদেশ: তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, আরিফুল হক, আবু হায়দার রনি, রুবেল হোসেন ও নাজমুল ইসলাম অপু।
আফগানিস্তান : উসমান গনি, আহমেদ শাহজাদ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আসগর স্তানিকজাই (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি, শফিকুল্লাহ, রশিদ খান, করিম জানাত, শাপুর জাদরান ও মুজিব উর রহমান।