মালয়েশিয়ার নাম করে নিয়ে গেলেন লিবিয়ায়
ই- বার্তা ডেস্ক।। নাটোরের নলডাঙ্গার যুবক মমিনুল ইসলাম। যাবার কথা মালয়েশিয়ায়। কিন্তু দালাল লিবিয়ার এক মরুভূমিতে নিয়ে নির্যাতন সেলে আটক রেখে মুক্তিপণের জন্য অমানুষিক নির্যাতন চালান। মুক্তিপণের টাকা প্রদানের পরও মিলছিল না মুক্তি। শেষটায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় মমিনুল ইসলাম দেশে ফেরেন গত ৩ মার্চ।
এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ দালাল চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন নোয়াখালীর সফিউল্লাহ, বরগুনার এহসান রাসেল ও নওগাঁর গুলজার হোসেন। রিমান্ডে এনে পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
মমিনুল ইসলাম জানান, তিনি খুব বেশি পড়াশুনা করেননি। পরিবারের বড় সন্তান। গ্রামে তার মতো অনেকেই বিদেশ গিয়ে সংসারের চাকা ঘুরিয়েছে। তিনিও যাওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজছিলেন। শেষটায় দালালের প্রলোভনে পড়েন।
দালালরা জানান, প্রথমে দুবাই যেতে হবে সেখান থেকে মালয়েশিয়া পাঠানো হবে। প্রথম বিমানযাত্রা। ভয়ে ভয়ে উঠে পড়েন দুবাইগামী ফ্লাইটে। পরে দুবাই থেকে তাকে নিয়ে যায় তিউনিসিয়ায়। সেখান থেকে নেওয়া হয় লিবিয়ার বেনগাজীর এক মরুভূমিতে।
তিনি আরো জানান, বেনগাজীর যেখানে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে অবস্থানরত যুবকদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি বুঝতে পারেন, সেটি দালাল চক্রের নির্যাতন সেল।
মমিনুল তার মুক্তি পাওয়ার ব্যাপারে জানায়, লিবিয়ায় নির্যাতন সেলে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পরই তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। পরে দালাল জাহিদের ফোনে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলে। আর এ অবস্থায় ছেলেকে নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে মমিনুলের মা বিথি আক্তার দ্রুত দালাল চক্রের সদস্য নওগাঁর ছাত্তারের হাতে ১ লাখ টাকা তুলে দেয়।
যেভাবে মুক্তি মেলে,
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার বলেন, মমিনুল ইসলামের মা বিথি আক্তার তার এক আত্মীয়ার মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তিনি দালাল চক্রের সন্ধানে অভিযান শুরু করেন।গ্রেফতার করেন দালাল চক্রের সদস্য গুলজার হোসেনকে। তার দেওয়া তথ্যমতে গ্রেফতার করা হয় এহাসন এবং উত্তরা থেকে সফিউল্লাহকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত সফিউল্লাহর মাধ্যমে জাহিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। পরে সফিউল্লাহর নির্দেশেই জাহিদ গত ৩ মার্চ মমিনুল ইসলামকে দেশে পাঠায় ।
ই- বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ