মিন্নির কিছু হলে আত্মহত্যার হুমকি দিলেন বাবা
ই-বার্তা ডেস্ক।। রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো তার স্ত্রী ও এই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সঙ্গে কারাগারে গিয়ে দেখা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে বরগুনা জেলা কারাগারে গিয়ে মিন্নির সঙ্গে দেখা করেন তার বাবা-মা, ভাই-বোন ও চাচা-চাচি।
সাক্ষাৎ শেষে তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের নির্যাতনের মুখে তার মেয়ে জবানবন্দি দিতে বাধ্য হয়েছে।
আর মিন্নির মা মিলি আক্তার অভিযোগ করেন, পুলিশের মারধরের মুখে তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কারাগারে সাক্ষাতের সময় মিন্নি তাদের এসব কথা জানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তার বাবা-মা। এ পরিস্থিতিতে মিন্নির জন্য সুবিচার প্রার্থনা করে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তার বাবা।
স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতা ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং তার ছেলে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সুনাম দেবনাথের ইন্ধনেই আমার মেয়ের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মিন্নির বাবা।
মোজাম্মেল বলেন, ‘আমার মেয়েকে চাপ দিয়ে তার ওপর মানসিক নির্যাতন করে তাকে দিয়ে জোরপূর্বক জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। শম্ভু ও শম্ভুপুত্র সুনাম প্রশাসনের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে খুনিদের আড়াল করতে আমার মেয়েকে ফাঁসাচ্ছে। আমার মেয়ের কিছু হলে আমি আত্মহত্যা করব।’
ভয়ভীতি দেখিয়ে তার মেয়ের কাছ থেকে সাজানো জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার মেয়ে কোনোভাবেই জড়িত নয়। ঢাকা থেকে আইনজীবীরা আসবে শুনে পুলিশ নির্যাতন করে তড়িঘড়ি আমার মেয়েকে দিয়ে মিথ্যা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করিয়েছে। মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমার মেয়েকে গ্রেপ্তার করে মামলায় জড়ানো হয়েছে। এখন আবার তাকে দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও রেকর্ড করানো হলো। এর মাধ্যমে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা হয়েছে।’
মোজাম্মেল বলেন, ‘সারা দেশবাসী দেখেছে আমার মেয়ে তার স্বামীকে বাঁচাতে সন্ত্রাসীদের সাথে যুদ্ধ করেছে। আমার মেয়ে মিন্নি নির্দোষ, রিফাত হত্যা নিয়ে শুরু হয়েছে নোংরা রাজনীতি। আমি প্রশাসনকে বলতে চাই, আমার মেয়েকে না ফাঁসিয়ে আপনারা সঠিক তদন্ত করেন, তাহলে রিফাত হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।’
ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু