মিয়ানমারের নির্বাচনে পরিবর্তনের আভাষ নেই
২০১১ সালে দীর্ঘ পাঁচ দশকের সামরিক শাসন অবসানের পর দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো মিয়ানমারে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রবিবার লাখ লাখ ভোটার দেয়, যদিও ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয় মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠী সহ বিভিন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
বিবিসি জানায়, পাঁচ বছর আগের নির্বাচনে ভূমিধস জয় পেয়েছিলেন দেশটির আপসহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিত অং সান সু চি।যদিও নাগরিকত্ব নিয়ে সাংবিধানিক জটিলতায় প্রধানমন্ত্রীর পদ পাননি তিনি। আলাদা পদ সৃষ্টি করে তিনি হন স্টেট কাউন্সিলর।এবারও বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে জয়ের অপেক্ষায় আছেন সু চি। দেশের ভেতরে তার জনপ্রিয়তা বাড়লেও রোহিঙ্গা নিপীড়ন ও গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিকভাবে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় শান্তি নোবেল বিজয়ী এ নারীর।
২০১৭ সালে সামরিক অভিযানের শিকার হয়ে রাখাইন রাজ্যের সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা দেশটি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘের বর্ণনায় যেটি গণহত্যা হিসেবে উঠে আসে।
আগ থেকেই এ নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা। এর মধ্যে সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাখাইন, শান ও কাচিনের নৃতাত্ত্বিক সংখ্যালঘুর ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়।৭৫ বছর বয়সী সু চি গত সপ্তাহে নিজের ভোট দেন। করোনার কারণে বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য আগাম ভোটের ব্যবস্থা করেছিল মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন।
সু চি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) ক্ষমতায় থাকলেও অনেক কিছুর নিয়ন্ত্রণ এখনো সেনাবাহিনীর হাতে। এনএলডির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিসহ ২৩টি বিরোধী দলের দাবি ছিল, করোনা পরিস্থিতির কারণে নির্বাচন পেছানো হোক।
তবে অক্টোবরে সু চির বক্তব্য ছিল, কভিড থেকেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচন। তিনি মানুষকে আহ্বান জানান স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে।রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ছয়টায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।