লকডাউনেও করোনায় রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ অস্ট্রেলিয়ায়

ই-বার্তা  ।।  সুরঞ্জিত বিশ্বাস সুমন,  অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি ।। গত দুই মাসের বেশি দিন কঠোর লকডাউন থাকা অবস্থায়ওঅস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমিত হচ্ছে প্রতিদিনই।

শনিবার এই রাজ্যে করোনায় আক্রন্ত ১ হাজার ৫শ ৩৩জন। আর মৃত ৪ জন। নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান জানান, গোষ্ঠী সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা করোনা মহামারিতে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি।

অস্ট্রেলিয়া সরকার নিউ সাউথ ওয়েলসে করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ কার্যকর করার জন্য সেনা সদস্য মোতায়েন করেছে। আর ১২টা এলাকায় রাত ৯টা-সকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া মেলবোর্ন ও অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরিও চলছে কঠোর লকডাউন। মেলবোর্নে আজ করোনায় আক্রান্ত ১৯০জন। আর অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরিতে ৩২ জন।

এদিকে সংক্রমণ বেড়ে চললেও টিকাপ্রাপ্ত ও জরুরি সেবাদানকারীদের জন্য লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। তবে তার জন্য জরুরি কাজের অনুমতি নিতে হচ্ছে সরকার থেকে।

করোনা ভাইরাসে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশিদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই বেড়েই চলছে। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩জন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

সর্বশেষ সিডনির বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত মুখ রোজল্যান্ড নিবাসী আনোয়ারুল আলম বিজু গত রাত ১২টার দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

তিনি অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বাংলাদেশি যিনি করোনায় মারা গেলেন। সদ্য প্রয়াত আনোয়ারুল আলম বিজু প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এর আগে গত ২০ আগষ্ট সিডনির ল্যাকেম্বার বাসিন্দা ৬৭ বয়স্ক এক বাংলাদেশী করোনায় আক্রান্ত হয়ে রয়েল প্রিন্স আলফ্রেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্হায় মারা যান।

এছাড়া গত ১ অগাস্ট সিডনির হোলসওরদ্ধি নিবাসী প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (৯৬) লিভারপুল হাসপাতালে মারা যান।  এতে বাঙালি কমিনিটির ওপর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।