শরৎচন্দ্রের পার্বতী রুপে পপি
ই-বার্তা ।। সাদিকা পারভিন পপি’ যিনি শোবিজ ভূবনে পপি নামে পরিচিত। বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এ গ্লামার নায়িকা তার দীর্ঘ দিনের ক্যারিয়ারে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে এসেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আরো এক ভিন্ন চরিত্র নিয়ে দর্শকদের সামনে হাজির হচ্ছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই নায়িকা।
নির্মাতা আরিফুর জামান আরিফ পরিচালিত ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। ছবিটিতে শরৎ চন্দ্রের পার্বতী রুপে পপি দেখা মিলবে গ্লামার নায়িকা পপিকে।
গেল সোমবার থেকে এফডিসিতে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবির শুটিং শুরু হয়। মাল্টিকাসটিং এর এই ছবি নিয়ে বেশ আশাবাদী নায়িকা পপি। বৃহস্পতিবার রাতে শুটিং এর ফাঁকে ছবিটি নিয়ে কথা বিডি২৪লাইভের সাথে কথা হয় পপির। পপি বলেন, ‘পার্বতী আমার স্বপ্নের চরিত্র। এই চরিত্রে কাজ করতে পেরে আমার অনেক দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আমি যে কতো খুশি সে বলে বোঝাতে পারবো না। কাজ করার জন্য আমি গল্প ফলো করছি, চরিত্র নিজের মধ্যে ধারণ করছি।’
পপি ছাড়াও এই ছবিতে দেবদাস চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস, শরৎ চন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করছেন গাজী রাকায়েত। আরো রয়েছেন আনিসুল হক মিলন, তমা মির্জা, মৌসুমী হামিদ সহ আরো অনেকে।
শরৎ চন্দ্রের চরিত্রে অভিনয় করছেন গাজী রাকায়েত পার্বতী অর্থাৎ পপিকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘পপির সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। আগে কখনও কাজ করা হয়নি। তো শুটিংয়ের প্রথম দিন আমি খানিকটা আগেই এসে উপস্থিত হই। এদিন আমার ও পপির শটের মাধ্যমে ক্যামেরা ওপেন হবার কথা। আমি ভেবেছিলাম পপি হয়তো দেরী করেই আসবেন। কিন্তু না তিনি সঠিক সময়েই শুটিং সেটে এসে উপস্থিত হলেন। পপি পার্বতীর সাজে যখন সেটে এসে হাজির হলেন। তখন মনে হলো আমার কল্পনার সেরা পার্বতী পপি।’
ইভেন্ট প্লাস ও এম আর ফিল্মস এর প্রযোজনায় ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ ছবিটির কাহিনী ও সংলাপ রচনা করেছেন হাশিম আখতার মো: করিমদাদ। চিত্রনাট্য করেছেন পরিচালক আরিফ নিজেই।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের কুলি ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে রুপালী পর্দায় অভিষেক হয় পপির। এরপর আর পেছেন ফিরে তাকাতে হয়নি তার। মেঘের কোলে রোদ, কারাগার, গঙ্গাযাত্রা ছায়াছবিতে অভিনয়ের করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুস্কাররে ভূষিত হয়েছেন এই নায়িকা।