শিশু আসিফা ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা রোমহর্ষক :জাতিসংঘ মহাসচিব
ই-বার্তা।। ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে আট বছর বয়সী শিশু আসিফা বানুকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাকে রোমহর্ষক আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস।
এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, আমরা সবাই এই রোমহর্ষক ঘটনা গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি। কর্তৃপক্ষের উচিত অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা।
জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক শুক্রবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেছেন।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতারা।
জানুয়ারি মাসের ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১৯ বছরের এক তরুণকে গ্রেফতার করে।
তরুণের জবানবন্দির ভিত্তিতে তার চাচা মন্দিরের (যে মন্দিরে আসিফাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়) পরিচালক সাবেক সরকারি কর্মকর্তা সানজি রাম এবং পুলিশ কর্মকর্তা দীপক খাজুরিয়াকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার চতুর্থ ব্যক্তি স্পেশাল পুলিশ অফিসার সুরিন্দর কুমার। তাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থলে দেখেছিল।
এর পর তাদের মুক্তির দাবিতে ও গোটা ঘটনা কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করাতে জম্মু অঞ্চলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
এ ছাড়া গ্রেফতার ব্যক্তিরা হিন্দু হওয়ায় হিন্দু-অধ্যুষিত জম্মুর কয়েকটি হিন্দু রাইট-উইং গ্রুপ তাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে।
শুধু ধর্মের কারণে এ রকম নৃশংস একটি ঘটনার পরও অভিযুক্তদের মুক্তি দাবি এবং ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীদের তা সমর্থন করায় পুরো ভারত ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #Kathua and #justiceforAsifa হ্যাশট্যাগ ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানী দিল্লিতে আসিফা হত্যা মামলায় ন্যায়বিচারের দাবিতে ইন্ডিয়া গেট অভিমুখে ‘ক্যান্ডেললাইট মার্চের’ নেতৃত্ব দেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির প্রধান রাহুল গান্ধী।
রাহুল বলেন, “আমরা কি দেখছি, এ দেশে নারী ও শিশুরা ক্রমাগত ধর্ষণ এবং হত্যার শিকার হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। এটি কোনো রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটি জাতীয় বিষয়।”
সোনিয়া গান্ধী ও প্রিয়াংকা ভদ্র গান্ধীও ওই প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন।
সুত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়ার।