শিশু তুহিনকে ঘরের বাইরে নিয়ে আসেন বাবা, খুন করেন চাচা
ই- বার্তা ডেস্ক।। সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় ৬ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বাবা, চাচাসহ পরিবারের সদস্যরা।
ঘুমন্ত তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে আসেন বাবা, আর খুন করেন চাচা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তুহিন হত্যার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, পুলিশের কাছে শিশু তুহিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বাবা ও চাচা। আর সুনামগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তুহিনের চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার। তারা এ হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, রোববার রাত আড়াইটার দিকে ঘুমন্ত তুহিনকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান বাবা আবদুল বাছির। পরে চাচা নাছির উদ্দিন ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার তুহিনকে খুন করেন। পরে তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
তিনি বলেন, বাবার সামনেই শিশু তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় তুহিনের বাবাসহ থানায় নিয়ে পাঁচজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই তুহিনকে খুন করা হয় বলে পুলিশকে জানান বাবা ও চাচা।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া কেজাউড়া গ্রাম থেকে তুহিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে গ্রামের আবদুল বছির মিয়ার ছেলে।
হত্যাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশুটির কান, গলা ও প্যানিশ কেটে পাশবিক কায়দায় হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে। শিশুটির পেটে বিদ্ধ ছিল দুটি ধারালো ছুরি। শিশুর মরদেহে বিদ্ধ ছোরা দুটির হাতলে সোলেমান ও সালাতুলের নাম লেখা ছিল।