শেষ মুহুর্তে আটকে গেল সুবর্ণচরের সেই ধর্ষকের জামিন
ই-বার্তা ডেস্ক।। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় গৃহবধূকে দল বেঁধে গণধর্ষণের ঘটনার মূলহোতা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের জামিন শেষ মুহুর্তে আটকে গেছে ।
গৃহবধূর মামলা পরিচালনাকারী নোয়াখালী জজকোর্টের আইনজীবী রবিউল হাসান পলাশ বলেন, ১৮ মার্চ গোপনে হাইকোর্ট থেকে এক বছরের জামিন নেন রুহুল আমিন। বিষয়টি আমরা আজকে জানতে পারলাম। এ বিষয়ে লিভ টু আপিল করব আমরা। আগামী রোববার এ নিয়ে লিভ টু আপিল করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শুনেছি ইতোমধ্যে রুহুল আমিনের জামিনের অর্ডারের কাগজপত্র নোয়াখালীতে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু জেলা কারাগারে যাওয়ার আগ মুহূর্তে সেসব কাগজপত্র কোনো এক কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে কিজন্য জামিনের অর্ডারের কাগজপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা কারাগারের জেল সুপার মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট থেকে রুহুল আমিনের জামিন অর্ডার-সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র রাত ৯টা পর্যন্ত আমাদের কাছে এসে পৌঁছেনি। হাইকোর্ট থেকে রুহুল আমিন জামিন পেয়েছে বিষয়টি আমরা আজই শুনলাম। তবে এখনো কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি আমরা।
৩০ ডিসেম্বর সকালে নির্যাতিত গৃহবধূ ভোট দিতে গেলে নৌকার কয়েকজন সমর্থক তাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলে। তিনি তখন ধানের শীষে ভোট দেয়ার কথা বললে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। সেই কথা কাটকাটির জের ধরে সেদিন রাতেই রুহুল আমিন ও তার বাহিনী তাদের বাড়িতে এসে প্রথমে ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা ঘরে ঢুকে স্বামী ও সন্তানকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে তারা।
এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।
ই-বার্তা/ আরমান হোসেন পার্থ