শৌচাগারের চেয়ে স্মার্টফোনে রয়েছে বেশি জীবাণু: গবেষণা
ই-বার্তা ডেস্ক ।। বর্তমান এই প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ছাড়া একদিনও যেন চলা দায়।মোবাইল ফোন ব্যবহারে আমরা এমন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে,মোবাইল ছাড়া নিজেকে অসহায় মনে করেন অনেক।কিন্তু এই মোবাইলের যততত্র ব্যবহারের নিজের অজান্তেই আপনি বহন করছেন রোগ জীবাণু।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, টয়লেটের চেয়ে তিন গুণ বেশি জীবাণু থাকে স্মার্টফোনের পর্দায়। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। ইন্সুরেন্সটুগো নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই গবেষণা চালায়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের এক-তৃতীয়াংশ কখনো স্মার্টফোনের পর্দা পরিষ্কারই করেননি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন,মোবাইল ফোনের ব্যবহারে সঙ্গে বাড়ছে জীবাণু সংক্রমণের শঙ্কা।সম্প্রতি বিদেশের বিভিন্ন সমীক্ষায় জানা গেছে এসব তথ্য। প্রযুক্তির এই যুগে উন্নত দেশের নাগরিকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে।এই মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে লেগে থাকা জীবাণু নাকি শৌচাগারের কমোডের থেকে অনেক বেশি। এসব জীবাণুর মধ্যে রয়েছে ক্ষতিকর ‘ই কোলাই’-সহ নানা ধরনের রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াও।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এবং ট্রপিক্যাল মেডিসিনের সমীক্ষা ২০১১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশটির ব্যবহৃত ছয়টি মোবাইলের মধ্যে একটি মোবাইলে ফিক্যাল ব্যাক্টেরিয়া (মল থেকে উৎপন্ন) রয়েছে।এছাড়া ই-কোলাইয়ের মতো ব্যাক্টেরিয়াও পাওয়া গেছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, মোবাইল ব্যবহারের পর আমরা তা অনেক সময় এমনই জায়গায় রাখি। যে জায়গা থেকে শিশুরা তা ধরে ও খেলা করে। ফলে তাদের হাতে জীবাণু লেগে যায়।
এছাড়া শৌচাগারে গেলে ভালোভাবে হাত ধুলে জীবাণু থাকে না। কিন্তু মোবাইল ফোন তো ধোয়া যায় না। এছাড়া মোবাইল ফোনের কাভারো ধোয়া যায় না। এর চারপাশে আপনার অজান্তেই লেগে থাকে জীবাণু।
তাহলে মোবাইল ব্যবহার কলকাতার অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড হাইজিনের বিজ্ঞানী মধুমিতা দুবে বলেন, মোবাইলের ব্যবহার তো বন্ধ করা যাবে না। তবে বিপদ রুখতে নিয়ম করে হাত-পা-মুখ ধোয়ার মতো স্বাস্থ্য-সচেতনতা জরুরি।
তিনি আরও বলেছেন, শৌচাগার থেকে বেরিয়ে ঠিকমতো হাত না-ধুলে বা শৌচাগারে মোবাইল নিয়ে গেলে তার মাধ্যমে নানা ধরনের ক্ষতিকর ব্যাক্টিরিয়া ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। সব সময় হয়তো সঙ্গে সঙ্গে রোগ দেখা দেবে না। কিন্তু বিপদের ঝুঁকি থেকেই যায়।’
ই-বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম