সংসদের প্রথম অধিবেশনে বিএনপির অপমানের কথা বলবঃ মাহী
ই-বার্তা ডেস্ক।। রাষ্ট্রপতি পদ থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বিএনপি-জামায়াত পদত্যাগে বাধ্য করার বিষয়ে মুখ খুলবেন তার ছেলে ও বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি চৌধুরী। ৩০ জানুয়ারি সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগ দিয়ে সেদিনকার অপমানের কথা জাতির সামনে তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহী বি চৌধুরীকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। সেখানে তিনি এসব কথা জানান।
মাহী বি চৌধুরী বলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে বিএনপি-জামায়াত অপমানজনকভাবে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। আমি তখন সংসদ সদস্য ছিলাম। কিন্তু কিছু বলতে পারিনি। বি চৌধুরী ২০০৪ সালে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেও তারা তার বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষায় একতরফাভাবে অভিযোগ করে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি পার্লামেন্টে থেকেও সেই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারিনি। আমাকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। অনেক দিন চুপ ছিলাম কিন্তু আর না। ৩০ জানুয়ারি ১৪ বছর পর সংসদে ফিরছি সেদিনই সব কিছু খোলাসা করে দেব।
বি চৌধুরীকে নিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে মাহী বলেন, ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি হিসেবে পদত্যাগের পর বি চৌধুরীকে নিয়ে খালেদা জিয়া বলেছিলেন- ‘ষড়যন্ত্রের শেকড় উপড়ে ফেলেছি’। ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে আপনি সেদিন কী কী করেছিলেন তা দেশবাসীকে জানাতে চাই।
তখনকার রাজনীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বি চৌধুরীর বিরুদ্ধে ‘বেইমানির অভিযোগ’ এনে সেদিন তারা মিথ্যাচার করেছিলেন। পদত্যাগের পর বি চৌধুরীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। আমি সংসদে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে মাননীয় স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেই সুযোগ পায়নি। আমাকে একটি শব্দও উচ্চারণ করতে দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করা হয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারত করতে না যাওয়ার অভিযোগে তাকে রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারন করা হয়।
ই-বার্তা/ মোঃ সালাউদ্দিন সাজু