সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের রূপকল্পেই বাংলাদেশ ঠিক সময়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে যুক্ত হয়েছে। আর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার জন্মদিন উপলক্ষে ‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, গ্রন্থটির প্রকাশক জয়ীতা প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী সাংবাদিক ইয়াসিন কবীর জয় ও প্রচ্ছদশিল্পী শাহরিয়ার খান বর্ণ বক্তব্য রাখেন। গ্রন্থটির সম্পাদক কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত অনলাইনে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সজীব ওয়াজেদ জয়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, চার চারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর ৫০তম জন্মদিনে আমি তাকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তিনি সব শিক্ষার্থীর স্বপ্নের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে মাস্টার্স করা, উচ্চশিক্ষিত। তার নেতৃত্ব ও সঠিক দিকনির্দেশনা বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন। তিনি আমাদের ভবিষ্যৎ নেতা। যেভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়ে তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, ভবিষ্যতেও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ২০০৮ সালে এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই এসেছিল। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগান আওয়ামী লীগ যখন দেয়, তখন অনেকেই এটি নিয়ে হাস্যরস করেছিল, অনেকেই এটি উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো স্বপ্নের কথা নয়, আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে আমরা আগের মতো চলাচল করতে পারছি না, তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা করা যে কত প্রয়োজন ছিল, সেটি আমরা অনুধাবন করতে পারছি। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাশ করছে, অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে, ই-ফাইলিং এর মাধ্যমে দাপ্তরিক কাজ হচ্ছে। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ নাগরিকসেবা একেবারে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।
২০১০ সালে ইউএনডিপির তৎকালীন মহাপরিচালক হেলেন ক্লার্ক এর সাথে চর কুকরি-মুকরিতে ডিজিটাল সেন্টার তথ্য বাতায়ন কেন্দ্র উদ্বোধন করতে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, তখন সেখানে বিদ্যুৎ ছিল না, সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছিলাম। আর হেলেন ক্লার্ক নিউইয়র্কে গিয়ে তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, চর কুকরি-মুকরিতে যে রেজ্যুলেশন পেয়েছি তা অনেক সময় নিউইয়র্কেও পাওয়া যায় না, এমনভাবেই তখন থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা মানুষের কাছে পৌঁছেছে।
তথ্যমন্ত্রী এসময় ‘মুজিব থেকে সজীব’ গ্রন্থ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জয়ীতা প্রকাশনী দুটি বই প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে এই জন্মদিনকে আরও অর্থবহ করেছে। উল্লেখ্য, ১১২ পৃষ্ঠার এ গ্রন্থে দেড় শতাধিক সংবাদচিত্র স্থান পেয়েছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সজীব ওয়াজেদ জয় : সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ শিরোনামে আরও একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছে জয়ীতা প্রকাশনী।